এরপরও কি আছে এমন আকাশ!
সুর্যাস্তের সমুদ্র সমতল বালুকাবেলায়,
রেশম, নরম, বুকওয়ালা সাদা গাংচিলেরা
নেচেছিল সেকি কোন ভাটা আর জোয়ারের তালে?
মাতাল হাওয়ায় পাতাদের শর্ শর্ শব্দ গুঞ্জন!
যেখানে বয়ে চলে পৃথিবীর বাসন্তী হৃদয় সুবাস।
রয়েছে নীলাভ দূরদুরান্তে এক প্রলুদ্ধ
রহস্যময় জগত,যেখানে বুকের মাঝে
সবুজ বীজ আগলে রাখা হলুদ সুর্যমুখী
মুখ তুলে রক্তাভ সুর্য্য বন্দনায় ব্যাস্ত।
যেখানে পাখিদের উড়াল দেয়ার এক মহান উচ্চতা।
যার পানে উন্মোচিত হয় এক শুন্যতা ভরা
আলোকময় বিশ্বের। পেজা পেজা তুলোর মত
ভেসে যাওয়া ঘোলাটে ধুসর মেঘ দাঁড়িয়ে যায়
ক্ষনিকের তরে,স্তব্ধ হয়ে শোনে গভীর সংবেদনে
কম্পমান পাতার হিল্লোল।
সুদুর থেকে ভেসে আসে কোন এক
রাখালিয়া বাঁশির সুরের কাপন।
ডালে ডালে অদৃশ্য এক উদ্দীপ্ত যৌবন,
মৃদু ফিসফিস আর মাঝে মাঝে কার জন্য
মন কেমন করা এক সুদীর্ঘ দীর্ঘশ্বাস।
তাদের কাছে রেখে এসেছি আমার শৈশব,
যেন এক রঙ্গীন মায়াবী কাচের টুকরো।
যেন আলগোছে ধরা কারো নম্র করতলে।
যেন এক স্বতন্ত্র সঙ্গীতময় প্রান নানা সঙ্গতে,
বেজে ওঠে স্রোতস্বীনির অবিরাম জল কুন্তলে। ।
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৮:৫৯