প্রচন্ড গরমে ঢাকাবাসীর নাভিশ্বাস ওঠার অবস্থা।ভাবলাম এই ফাকে আমার ছবির পুরোনো এলবাম থেকে ভুটানের কিছু শীতল কোমল মুহুর্তের ছবি ব্লগের সবার সাথে শেয়ার করি। হয়তো কারো ভালোলাগতেও পারে।
ভুটানের রাজধানী থিম্পুর সুউচ্চ পাহাড়ের উপর বুদ্ধ দর্দেনমার মূর্তি দেখতে যাচ্ছি।আর স্থানীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছেলেমেয়েরা হেটে উঠেছিল পাহাড় চুড়ায়। হাসি গল্প কলতানে রাস্তা মুখর করে এখন তারা থেমে থেমে নেমে আসছে নীচে।
ঐ রাস্তার বাঁকে ঠান্ডা ঠান্ডা, ইশ এখন কি ভালোই না লাগছে দেখে।
পাহাড় চুড়ায় ১৬৯ ফিট উচু পিতল আর স্বর্ন মন্ডিত বুদ্ধের এই মুর্তি পর্যটকদের জন্য এক বিশাল আকর্ষন। তবে নির্মান কাজ চলছে, এখনো শেষ হয়নি ।
চীন আর ভুটানের যৌথ সহযোগিতায় নির্মিত হচ্ছে বৃহত্তম এই ভাস্কর্য্য বুদ্ধ দর্দেনমা।
সেই শীত শীত পাহাড় চুড়া থেকে নেমে আসার পথে দূর থেকে গাইড কাম ড্রাইভার দেখালো নীচে ঐ দূরে ঐ সবুজ গাছ পালায় ঘেরা ভুটানের নিজস্ব স্থাপত্যকলা আর ঐতিহ্যে নির্মিত ছোট্ট বাড়ীটিই রাজা জিগ্মে খেসার ওয়াংচুকের।
নিরাপত্তার জন্য বাড়িটির খুব কাছে যাওয়া বা ছবি তোলা নিষেধ। তবে আমরা তার কাছেই যাবো কারন তার আশেপাশেই রয়েছে তাদের প্রধান জং অর্থাৎ প্রশাসনিক কার্যালয় যার সাথে রয়েছে ভুটানের প্রথানুসারে গৌতম বুদ্ধের মন্দির।
পাহাড়ের পাশে পাইনের বনে ঘোড়াগুলো নেমে যাচ্ছে নীচে
শীতল পাহাড়ী উপত্যকা বেয়ে নেমে যাচ্ছি সেই রাজবাড়ীর দিকে। কঠোর নিরাপত্তায় ঘেরা সেখানে শুধু একটা নির্দিষ্ট পরিমান জায়গা দর্শকদের জন্য উন্মুক্ত।
হাত দিয়ে স্পর্শ করলে বোঝা যায় কি নির্মল, কোমল, শীতল, চঞ্চলা সেই পাহাড়ী নদীর পানি, বয়ে চলেছে থিম্পুর বুক চিরে ঠান্ডা এক হাওয়ার পরশ ছড়িয়ে।
হিম হিম ঠান্ডায় থিম্পুর প্রধান জং ও তার আশপাশ সবুজ গাছের ঝোপের আড়ালে রাজবাড়ি। কিন্ত বন্দুকধারী সৈনিকদের কড়া নিরাপত্তা ভেদ করা দুঃসাধ্য।
অপুর্ব ফুলের সারি ভুটানের ট্র্যাডিশনাল ডিজাইনের প্রশাসনিক ভবনের পাশে।
মনমাতানো রঙ্গীন সে ফুল দেখার মত রুপ।
সে ভবনের পাশ দিয়ে রাস্তা চলে গেছে আরেকটু এগিয়ে মন্দিরের দিকে
হাতের বা দিকে থিম্পুর রাজবাড়ী সংলগ্ন বুদ্ধের মন্দির
ডানদিকে সবুজ স্নিগ্ধ শ্যমল ছায়া ছায়া মাঠ
ভুটানের একমাত্র এয়ারপোর্ট যা প্রাচীন নান্দনিক সৌন্দর্য্যে ভরপুর স্থাপত্যকলায় তৈরী স্থাপনা।
ভুটানের মেইন এয়ারপোর্ট বিল্ডিং
আমি আর আমার স্বামী ড্রুক এয়ারলাইন্সের প্লেন থেকে নেমে একটা পোজ দিলাম ছবি তোলার জন্য।
ভুটানের এয়ারপোর্ট পারোর রানওয়ে । ব্লগার রমাকান্তকামারের অনুরোধে এয়ারপোর্টের ছবিগুলো দিলাম
এখন মনে প্রানে সেই শীতল পরশের অভাব অনুভব করছি মনে হয় আবার ভুটান গিয়ে বসে থাকি

সব ছবি আমাদের ক্যামেরায় তোলা।
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৬