somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মালয়েশিয়ার কিছু এলোমেলো ছবি ব্লগ

১৩ ই আগস্ট, ২০১০ রাত ১১:০০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ব্লু মস্‌ক ইন শাহ আলম
বিখ্যাত ব্লু মস্‌ক মালয়েশিয়ার সেলাংঘর প্রদেশের রাজধানী শাহ আলম এ অবস্হিত । নীল আর সাদা রংয়ের অপুর্ব মেলবন্ধনে নির্মিত এই অপরূপ মসজিদে প্রতিটি জিনিসেই এই দুটি রং এর উপস্হিতি,এমনকি বিশাল কার্পেটটায় পর্যন্ত।আমরা এর ভেতরে ঘুরে ঘুরে দেখলাম হাজার হাজার লোক এখানে একসাথে নামাজ আদায় করতে পারে । মেয়েদের আলাদা জামাতে নামাজ পরার সুন্দর ব্যাবস্হা। সবুজ গাছ আর ঘাসে ছাওয়া বিশাল চত্বর জুড়ে প্রতিস্ঠিত ঝকঝকে তকতকে দৃষ্টিনন্দন এই মসজিদটি এক কথায় সত্যিই অপূর্ব ।
এখানে একটি লাইব্রেরিও আছে।



মেলাবতী পাহাড়
জোনাকীর ঝিকিমিকি দেখতে যাওয়ার সময় মেলাবতী পাহাড়ের উপর সিলভার লীফ বাঁদর।ওরা খুব নিরীহ টাইপের।আমাদের হাত থেকে বাদাম খেলো।


কুয়ালালামপুর

চৈনিক ধর্ম উপাসনালয়। বিশাল এলাকা জুড়ে অপরূপ কারুকার্যমন্ডিত এই স্হাপনা। আমাদের গাইডের ভাষায় চীনারা এখানে আসে তাদের জাগতিক তথা অর্থনৈতিক উন্নতির ব্যাপারে ইশ্বরের কাছে আবেদন জানাতে, এছাড়া তাদের আবেদনের আর নাকি কোনো বিষয় নেই! প্রসংগত গাইড নিজেও একজন চৈনিক এবং আমাদের কে ঘুরিয়ে দেখানোর ফাকে তাকেও দেখলাম আবেদন পেশ করতে!
উল্লেখ্য মালয়েশিয়ার জন গোস্ঠির এক বিরাট অংশ জুড়ে আছে চীনা রা।


কুয়ালালামপুর
চীনা মন্দিরের ভেতর চীনা দেবতা। কিউট দেখতে এই দেবতা নাকি চীনাদের সিদ্ধিদাতা গনেশ।এর কাছেই টাকাপয়সা পাবার জন্য তাদের আবেদন নিবেদন।


কুয়ালালামপুর

চীনাদের বছর এক একটি প্রানীর নামে উল্লেখ করা,যেমন সাপ বর্ষ, বানর বর্ষ, সিংহ বর্ষ, ড্রাগন বর্ষ এরকম আরো আছে।চীনা মন্দির প্রাংগনে এই মুর্তিগুলো সাজিয়ে রাখা ছিল। তারমধ্যে এই ড্রাগনটা ছিল খুব সুন্দর রংগীন।


গেনটিং হাইল্যান্ড
মেঘের রাজ্য গেনটিং হাইল্যান্ড যাবার পথে বাস থেকে তোলা ঝিরি ঝিরি বৃষ্টির সময় ।


গেনটিং হাইল্যান্ড
ক্যাবল কারে গেনটিং যাওয়া,একটি কারে ছয়জন করে খুব দ্রুত উঠতে হয়, যথারীতি আমি লেট ।পরের টায় উঠলাম স্বামী ছেলে আগেরটায় আর আমি নার্ভাস একা একা অপরিচিতদের মাঝে।ওরা ছবি তুলেছে কাচের ভেতর দিয়ে আমার কেবল কারের।


গেনটিং হাইল্যান্ড
পাহারের চুড়ার উপর প্রতিস্ঠিত অপরূপ গেনটিং হাইল্যান্ডের এটি একটি মডেল। এটার বৈশিষ্ট হোলো এখানে একটি বিল্ডিং এর ভেতরে প্রবেশ করে আপনি প্রতিটি বিল্ডিং এর ভেতরে ঘুরে আসতে পারবেন (ইন্টার কানেকটেড)।এই হোটেলের মধ্যেই আছে বিখ্যাত ক্যাসিনো, বড় বড় চেইন রেস্টুরেন্ট, শপিং প্লেস, কেবল কার স্টেশন সব কিছুই।


গেনটিং হাইল্যান্ড
হোটেলের একটি হলরুম। এখানে ট্যুরিস্টরা প্রতিটি জায়গা ঘুরে দেখতে পারে, তবে ক্যাসিনো ছাড়া।ক্যাসিনোতে যেতে হলে ফর্মাল পোশাক থাকতে হবে আর মালয়েশিয়ার মালয়ীদের প্রবেশ সম্পুর্ন ভাবে নিষিদ্ধ।
প্রচুর মধ্যপ্রাচ্যের পর্যটক দেখলাম সেখানে যা সেদেশের আর কোনো পর্যটন কেন্দ্রে দেখা যায়নি।


গেনটিং হাইল্যান্ডের বিখ্যাত ফাস্ট হোটেল।


ঐতিহাসিক মালাক্কা

ইতিহাস থেকে জানা যায় ১৪০০ সালে নির্বাসিত এক রাজপুত্রের হাতে প্রতিস্ঠিত হয়েছিল এই ঐতিহাসিক মালাক্কা শহর।
কৌশলগত অবস্হানের কারনে বিখ্যাত এই সমুদ্র বন্দর যা একে একে হাত বদলে পর্তুগীজ, ডাচ এবং পরবর্তীতে বৃটিশদের পদানত ছিল মালয়েশিয়ার স্বাধীনতার আগ পর্যন্ত।
ঐতিহাসিক চার্চের সামনে দাড়ানো এই ছবিতে আমার কর্তাকে দেখা যাচ্ছে।


ঐতিহাসিক মালাক্কা
বাস থেকে তোলা ইতিহাসের বিখ্যাত মালাক্কা প্রনালী তথা সমুদ্র যার ওপারে বর্তমান ইন্দোনেশিয়া।


ক্র্যাব আইল্যান্ড
অত্যন্ত স্পীডে চলা এই হুভারক্রাফট যার অর্ধেকেরও বেশী অংশ পানির নীচে ডুবে থাকে, আমরা এটাতে চড়ে পোর্ট ক্লাং থেকে ক্র্যাব আইল্যান্ডে এসেছিলাম সকালে, এখন বিকাল ৫টায় এটাতেই ফেরত যাবো।
এটা পুরোটাই একটা জেলেদের দ্বীপ।

ক্র্যাব আইল্যান্ড
বাংলাদেশের উপকুলের মত জোয়ার ভাটার খেলা। জোয়ারের সময় অসংখ্য ছোটো ছোটো লাল নীল হলুদ সবুজ কাকড়ায় ছেয়ে যায় পুরো দ্বীপ।যার থেকেই এই নামকরণ।


ক্র্যাব আইল্যান্ড
জোয়ারের পানি এসে যেন ভাসিয়ে না নেয় তার জন্য উচু করে তৈরী এই সরকারী পাকা রাস্তা। একই উচ্চতায় তৈরী জেলেদের বাড়ীগুলোও এই রাস্তার সাথে সংযুক্ত। ঝক ঝকে তকতকে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন বাড়ীঘর। এবং প্রত্যেকটি বাসায় বড় বড় ট্যাংকে বৃষ্টির পানি ধরে রাখার বন্দোবস্ত মিষ্টি পানির প্রয়োজন মেটাতে।অনেক বাড়ির সামনে ফুল ও ফলের গাছও দেখেছি।


কুয়ালালামপুর
রাতে হোটেলে ফেরার সময় টুইন টাওয়ার আর কে এল টাওয়ারের অপরূপ সৌন্দর্য একই ফ্রেমে।
কে এল টাওয়ার রাতের বেলা একটু পর পর রং পাল্টায় যা ভারী মনোরম।

সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই আগস্ট, ২০১০ সকাল ১০:৫৮
৬৫টি মন্তব্য ৬৫টি উত্তর পূর্বের ৫০টি মন্তব্য দেখুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উদ্বেগজনক অবনতি: নাগরিক জীবনে নিরাপত্তাহীনতা

লিখেছেন শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু, ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ১০:৩৫



বাংলাদেশে সাম্প্রতিক সময়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি উদ্বেগজনকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। সাধারণ জনগণের মধ্যে এক ধরনের আতঙ্ক বিরাজ করছে, কারণ প্রতিদিনই কোথাও না কোথাও চুরি, ডাকাতি, হত্যাকাণ্ড কিংবা রাজনৈতিক সহিংসতার... ...বাকিটুকু পড়ুন

নতুন দল নিয়ে নতুন ছেলে-মেয়েদের মারামারির ভালো দিকও আছে।

লিখেছেন আফনান আব্দুল্লাহ্, ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ১১:০৩

প্রাইভেটের ছেলে-মেয়েরাও রাজনীতিতে সচেতন হয়েছে বিরাট আকারে, এটা বোঝা গেল স্পষ্ট। স্রেফ একটা সফল আন্দোলন করেই তারা ঘরে ঢুকতে চাচ্ছে না। দেশের সংস্কার কাজেও থাকতে চায় পুরোপুরি। রাষ্ট্রক্ষমতায় বসে যে... ...বাকিটুকু পড়ুন

শয়তান ও রাজনীতিবিদ !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ২:৫৬


এক মন্ত্রী মৃত্যুর পর পরজগতে গেলো। দুনিয়ায় তাঁর কিছু ভালো কাজ থাকার কারনে সৃষ্টিকর্তা তাকে ক্ষমা করে জান্নাতে জায়গা দিলেন।সে যখন জান্নাতে ঢুকবে, তখন ফেরেশতারা তাকে বলল,"জান্নাতে তো কিছু সৌন্দর্যবর্ধনের... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সিথী

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৪:৫০



এই মহিলা পুরা ফেসবুকের রিল খাইয়া... ...বাকিটুকু পড়ুন

'কাঁটালতা উঠবে ঘরের দ্বারগুলায়’

লিখেছেন জুল ভার্ন, ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৪:৫৫

বই রিভিউ
‘কাঁটালতা উঠবে ঘরের দ্বারগুলায়’
রুপক বিধৌত সাধু

বরাবরের মতোই এবারের একুশে বই মেলা থেকে অনেক বই কিনেছি। ইচ্ছে ছিল ব্লগার বন্ধুদের বইগুলো পড়ে ছোট করে হলেও পাঠপ্রতিক্রিয়া শেয়ার করবো।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×