
ফিরে এলে দীর্ঘ ভ্রমন শেষে।
গিয়েছিলে অফিসেরই কাজে।
ব্যাংকক হয়ে মায়ানমার,
বার্মা বলেই যাকে আমি চিনি।
ঘরে ঢুকেই বল্লে, 'আনিনি তেমন কিছুই
কি আছে সেখানে যা তুমি কিনোনাই
কক্সবাজার, টেকনাফ থেকে !!
সেই স্যান্ডেল,চাদর, সেই সনেকা' !
তারপরও স্যুটকেস খুলে সবার হাতে তুলে দিলে
টুকটাক কত কত কিছু। সাথে চকলেট।
ছেলেকেও দিলে তার চাওয়া কি যেন জিনিস।
আমি ব্যাস্ত আমার কাজে।তার ফাঁকে দেখছি
তোমার বিলি বন্টন।
হঠাৎ দাড়িয়ে উঠে প্যান্টের পকেটে হাত দিয়ে বল্লে,
'এদিকে এসো নিয়ে যাও তোমার উপহার,
তুমিতো ভাগ্যবতী! ভালো জিনিসটা তোমার জন্যই থাকে।
চেয়ে দেখ তোমার সব চেয়ে প্রিয়'!
দেখি চারকোনা এক ছোট্ লাল বাক্স
ঢাকনা খুলে আমার হাতে দিয়ে বল্লে
'এই দেখ বিখ্যাত বার্মিজ রুবী।সুন্দর কি না বলো?
পাশে দেখতে পাচ্ছো ছোট্ট দুটো হীরে'?
দেখি সফেদ সাদা ভেলভেটের বিছানায় আঙটি
সোনার ব্যান্ডে মসৃন কালচে লাল এক পাথর!
এই কি রুবী! প্রাচীন বাংলায় মানিক্য যার নাম!
রাজ রাজড়ার অলংকারে লালচে আলোর জৌলুস ছড়ায়!
গোলাপের পাপড়ির চেয়েও যে গোলাপী
লাল পদ্মের মত যার আভা ছড়ানোর কথা, সে এমন মলিন কেন?
মনটা আমারও মলিন হয়ে গেল, সেকি ঠকে এসেছে সেথায়!
আমার মুখের দিকে তাকিয়ে বল্লো 'কি পছন্দ হয়নি তোমার'?
তাড়াতাড়ি আঙুলে ঢুকিয়ে হাত মেলে বলি
'কি যে বলো তুমি? এত অপূর্ব সুন্দর কখনও তো আগে দেখিনি'!
বিকেলে যাচ্ছি উত্তরা, সামনে তাকিয়ে আছি..
হাতটা কোলের উপর রাখা,পশ্চিমের সুর্য হেলে পড়েছে
আমার গায়ে, আচঁলে ঢাকতে যাবো
হঠাৎ চমকে চেয়ে দেখি রোদ পড়া হাতে,
রক্তের মত জ্বল জ্বলে রঙে জ্বলে উঠছে অনামিকা আমার,
না না রক্ত নয় কবুতরের চোখের চেয়েও লাল!
অপরূপ আলোর আভা ঠিকরে পড়ছে চারিদিকে
একি সেই মানিক্য, শুদ্ধতে নাম যার পদ্মরাগমনি!