somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ছাত্রলীগের হত্যার রাজনীতির শিকার আবিদ

২৫ শে অক্টোবর, ২০১১ রাত ১০:১৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



ছাত্রলীগের হত্যার রাজনীতির শিকার হলেন চমেক ছাত্র আবিদুর রহমান আবিদ। কলোষিত রাজনীতির শিকার হয়ে অকালে হারিয়ে গেল বড়ই তলী গ্রামের স্বপ্ন আবিদ। তার মায়ের আকুতিতে কি সরকারের টনক নড়বে?
ছাত্রলীগ ক্যাডারদের নির্মম নির্যাতনে গুরুতর আহত চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের বিডিএস চতুর্থ বর্ষের ছাত্র আবিদুর রহমান মারা গেছেন। প্রায় দু’দিন হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে গত ২১ অক্টোবর রাত ৮টার দিকে মারা যান তিনি। আবিদকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধারের পর চমেকের আইসিইউতে ভর্তি করা হয়েছিল বৃহস্পতিবার সকালে। এখানে তার অবস্থার আরও অবনতি ঘটলে চিকিসত্করা ঢাকায় নিয়ে উন্নত চিকিত্সা দেয়ার পরামর্শ দেন। কিন্তু সেই সুযোগ আর হলো না। ঢাকায় নেয়ার সব প্রস্তুতি যখন সম্পন্ন তখনই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন আবিদ।
আবিদসহ নির্যাতনে আরও আহত হন চমেকের ৭ ছাত্র। আহত অন্যরা হলো—ইয়াছিন, রিজভী, মিনহাজ, ফয়সাল, ওবায়েদ ও তৌফিক। তারা চমেকের বিভিন্ন বর্ষের ছাত্র। তাদের প্রাথমিক চিকিত্সা দেয়া হয়েছে।
ছাত্রলীগের রাজনীতি ছেড়ে হঠাত্ ছাত্রদলে যোগ দিয়ে ডেন্টালে ছাত্রদল সংগঠিত করার অপরাধে আবিদের ওপর এ বর্বর নির্যাতন চালানো হয় বলে তার পরিবারের সদস্য ও সহপাঠীরা অভিযোগ করেছেন।
আমার দেশে প্রকাশিত নিউজ থেকে জানা যায়, বুধবার বিকাল থেকে বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত চমেক ছাত্র সংসদ অফিসে আটকে রেখে এ ৭ শিক্ষার্থীর ওপর দফায় দফায় নির্যাতন চালানো হয়। আবিদের পা থেকে মাথা পর্যন্ত হকিস্টিক দিয়ে পুরো শরীর পিটিয়ে ও কিল-ঘুষি-লাথি মেরে জখম করা হয়। আঘাতে থেঁতলে যায় শরীরের বিভিন্ন অংশ। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইনটেনসিভ
কেয়ার ইউনিটটে (আইসিইউ) চিকিত্সা দেয়ার পর তাকে উন্নত চিকিত্সার জন্য ঢাকায় নেয়ার পরামর্শ দেয়া হয়। চিকিত্সকদের পরামর্শ অনুযায়ী গতকাল সন্ধ্যায় পরিবারের লোকজন মুমূর্ষু আবিদকে নিয়ে ঢাকা অ্যাপোলো হাসপাতালের উদ্দেশে রওনা দেয়ার প্রস্তুতি নেন। হাসপাতালের সামনে প্রস্তুত রাখা হয়েছিল অ্যাম্বুলেন্স। কিন্তু অ্যাম্বুলেন্সে তোলার আগেই চিকিত্সকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় পুরো ক্যাম্পাসে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিরাজ করছে ক্ষোভ। আবিদের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ার পর শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল বের করে। তারা আবিদের খুনিদের গ্রেফতারের দাবি জানান।
চমেক ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের মধ্যে বেশ কিছুদিন ধরেই উত্তেজনা বিরাজ করছিল। আবিদ ছাত্রলীগের এক গ্রুপের কর্মী হিসেবে পরিচিত ছিলেন। কিন্তু চমেক ছাত্রলীগের সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ডে ক্ষুব্ধ হয়ে তিনি কিছুদিন আগে ছাত্রদলের কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত হন। এতে ক্ষুব্ধ হয় ছাত্রলীগ ক্যাডাররা।
বুধবার বিকালে আবিদসহ অন্যরা ডিপার্টমেন্টের পরীক্ষা শেষে হলে যাওয়ার সময় ছাত্র সংসদের সামনে ছাত্রলীগ ক্যাডাররা তাদের গতি রোধ করে ছাত্র সংসদ অফিসে আটকে রাতভর চালানো হয় নির্মম নির্যাতন। নির্যাতনের একপর্যায়ে এসব ছাত্র সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়লে নির্যাতনকারীরা চলে যায়। আশপাশের লোকজন বৃহস্পতিবার সকালে তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে পাঠিয়ে দেয়।
আবিদের মামা নিয়ামত উল্লাহ জানান, আবিদকে চমেকে লাইফ সাপোর্ট দিয়ে বাঁচিয়ে রাখা হয়েছিল। তিনি কান্নাজড়িতকণ্ঠে বলেন, ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা এত দীর্ঘ সময় আবিদকে আটকে রেখে নির্যাতন চালানোর পরও পুলিশ বা চমেক প্রশাসন তাকে উদ্ধারে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। চমেকের সংশ্লিষ্ট বিভাগের ডাক্তাররা সন্ত্রাসীদের ভয়ে আবিদকে যথাযথ চিকিত্সা দিতেও রাজি হননি প্রথমে। অনেক পীড়াপীড়ির পর তাকে আইসিইউতে নেয়া হলে ডাক্তাররা তাকে এখানে রাখতে রাজি হননি। মুমূর্ষু অবস্থায় আবিদকে ঢাকায় নিয়ে যেতে বলা হয় আমাদের। কিন্তু তার অবস্থা তখন শেষ পর্যায়ে। চমেকে সময়মতো চিকিত্সা দেয়া হলে আবিদকে হয়তো বাঁচানো সম্ভব হতো। এভাবে আর কত প্রান গেলে ছাত্রলীগের হত্যার রাজনীতি বন্ধ হবে এ প্রশ্ন রইল ছাত্রলীগ নেতাদের প্রতি। আর কত মায়ের বুক খালি হলে জাতির মেরুদন্ড শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংসকারী এ ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ ঘোষনা করা হবে এ প্রশ্ন রইল সরকারের প্রতি। সূত্র-আমার দেশ
২টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মায়ের নতুন বাড়ি

লিখেছেন সাদা মনের মানুষ, ০৮ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:২২

নতুন বাড়িতে উঠেছি অল্প ক'দিন হলো। কিছু ইন্টরিয়রের কাজ করায় বাড়ির কাজ আর শেষই হচ্ছিল না। টাকার ঘাটতি থাকলে যা হয় আরকি। বউয়ের পিড়াপিড়িতে কিছু কাজ অসমাপ্ত থাকার পরও পুরান... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। শিল্পী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৮ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:৩৮










চিত্রকলার কোন প্রথাগত শিক্ষা ছিলনা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের। ছোট বেলায় যেটুকু শিখেছিলেন গৃ্হশিক্ষকের কাছে আর পাঁচজন শিশু যেমন শেখে। সে ভাবে আঁকতেও চাননি কোন দিন। চাননি নিজে আর্টিস্ট... ...বাকিটুকু পড়ুন

জাহান্নামের শাস্তির তীব্রতা বনাম ইসলামের বিবিধ ক্ষেত্রে অমুসলিম উপস্থাপিত বিবিধ দোষ

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ০৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:৫৪



জাহান্নামের শাস্তির তীব্রতার বিবেচনায় মুমিন ইসলামের বিবিধ ক্ষেত্রে অমুসলিম উপস্থাপিত দোষারোপ আমলে নেয় না। আমার ইসলাম সংক্রান্ত পোষ্ট সমূহে অমুসলিমগণ ইসলামের বিবিধ ক্ষেত্রে বিবিধ দোষের কথা উপস্থাপন করে।... ...বাকিটুকু পড়ুন

শ্রান্ত নিথর দেহে প্রশান্তির আখ্যান..... (উৎসর্গঃ বয়োজ্যেষ্ঠ ব্লগারদের)

লিখেছেন স্বপ্নবাজ সৌরভ, ০৯ ই মে, ২০২৪ রাত ১:৪২



কদিন আমিও হাঁপাতে হাঁপাতে
কুকুরের মত জিহবা বের করে বসবো
শুকনো পুকুর ধারের পাতাঝরা জামগাছের নিচে
সুশীতলতা আর পানির আশায়।

একদিন অদ্ভুত নিয়মের ফাঁদে নেতিয়ে পড়বে
আমার শ্রান্ত শরীর , ধীরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আজকের ব্লগার ভাবনা: ব্লগাররা বিষয়টি কোন দৃষ্টিকোন থেকে দেখছেন?

লিখেছেন লেখার খাতা, ০৯ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৪১


ছবি- আমার তুলা।
বেলা ১২ টার দিকে ঘর থেক বের হলাম। রাস্তায় খুব বেশি যে জ্যাম তা নয়। যে রোডে ড্রাইভ করছিলাম সেটি অনেকটা ফাঁকা। কিন্তু গাড়ির সংখ্যা খুব কম।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×