মারাত্মক একটা দুর্ঘটনা হতে কাল আল্লাহ তায়ালা আমাকে রক্ষা করলেন আর সেই সাথে পেলাম জীবনের সবচেয়ে থ্রিলিং-উত্তেজনাময় ৫ মিনিট। যে পাঁচ মিনিট সামুর সকল টেক জনতা এবং সকল ভ্রমনপিপাসু, প্রকৃতিপ্রেমী ও অ্যাডভেঞ্চারপ্রেমীদের সাথে শেয়ার করা আবশ্যক বলে মনে হচ্ছে। পোস্টটি একটু বড় মনে হতে পারে কিন্তু ধৈর্য ধরে পড়ে ফেলুন। কারন, এমন পরিস্থিতিতে আপনিও পড়তে পারেন। তো চলুন এবার বিস্তারিত জানা যাক।
গত ২৭/০৩ হতে গাজীপুরে আছি ডুয়েট এ ভর্তি কোচিং করতে। আসার পর থেকেই এলাকাটা খুব ভালো লাগছিলো। আমি দক্ষিণের মানুষ, এর আগে কখনো উত্তরে আসা হয়নি। তাই, আশেপাশে যাবার মত জায়গার অভাব নেই। কিন্তু, পড়াশুনার চাপের কারনে বাসা থেকে খুব একটা বের হওয়া হয় না। কাল পহেলা বৈশাখ ছিল আর সকালে কোচিংও ছিলো না। তাই ভাবলাম বছরের শুরুতেই তবে হয়ে যাক একটু অ্যাডভেঞ্চার। পাশেই আছে "ভাওয়াল জাতীয় উদ্যান"। দুটো বন্ধুকে ফোন করেও পেলাম না। মেসের সবাইও পড়ালেখা নিয়ে দুর্দান্ত ব্যাস্ত। এমনই সমস্যায় এর আগেও দুবার যাওয়া হয়নি। তাই, এবার কবি গুরুর বিখ্যাত এক গানের (যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে...) মর্মকথা উপলব্ধি করে নিজে একা একাই রওনা দিলাম।
তখন প্রায় ১১টা বাজে যখন আমি পার্কের ভিতর ঢুকলাম। আমি পাহাড়ে বেশ কয়েকবার গিয়েছি কিন্তু এর আগে কখনো এরকম কোন বনে যাইনি। তাই, বেশ ভালোই লাগছিলো সবকিছু। চারদিকে কেবল সবুজ আর সবুজ। এমনিতেই কাল পহেলা বৈশাখ এর কারনে অনেক মানুষ ছিলো। তাছাড়া আমি যে দিক দিয়ে আমি যাচ্ছিলাম সেদিকে বেশ কিছু ফ্যামিলি গ্রুপ আর প্রচুর কাপলাধিক্য ছিল



সোজা উত্তরে অনেকটা পথ হেঁটেও আর কোন রাস্তা না পেয়ে আমি পুরো ৯০ ডিগ্রি একটা বাক নিয়ে হাটতে লাগলাম পশ্চিম দিকে। কারন ঢাকা-ময়মনসিংহ রোডের যে ম্যাপ আমি দেখে এসেছিলাম তা অনুযায়ী পশ্চিমে গেলে আমি সেটার কাছে যেতে পারার কথা। আর প্রধান সড়কের কাছে গেলে পার্কের গেইটও পাবার কথা। যদিও এই সিদ্ধান্তটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ আর একেবারেই সঠিক ছিলো কিন্তু, এই দিকেও কিছুই পেলাম না। তারপরও, আত্মবিশ্বাসে ভর দিয়ে সেদিকেই হাঁটতে থাকলাম। ভর দুপুর বেলা, চারদিক পুরো নিঝুম নিস্তব্ধ, কোথাও কেউ নেই। আমার এতই অস্বাভাবিক রকম ভালো লাগছিলো যে একা একা এই গহীন জনবিরল বনে আসার বিপদ গুলোর ভয়টাও তখনো মাথায় আসেনি। ছোট ছোট টুকরো বন গুলো পার হবার সময় কেবল আমি, কিছু পাখি, ঝি ঝি আর শুকনো পাতার মর্মর শব্দ। ঠিক যেন কৈশোরে পড়া কোন গল্পের ভেতর দিয়ে হাঁটছিলাম। একটু পরেই আমার সাথে যা ঘটতে চলেছিল, সেটাকে এই অনুভূতির সাথে পাল্লায় তুললে, খুব বেশি দাম দিতে হয়েছে বলে মনে হয় না।
হাঁটতে হাঁটতে হঠাৎ, আমি দুটো ছেলেকে দেখলাম অনেকটা দূরে একটা বাগান থেকে বেরিয়ে আমার দিকেই আসছে। যদিও এই পরিস্থিতিতে তাদের দেখে আমার খুশি হওয়ার কথা ছিল কিন্তু, তার বদলে আমার কেন যেন ওদের সন্দেহ হলো। তখন ঘড়িতে প্রায় ২টা বাজে। এমন সময় এদিকে আর কোন দর্শনার্থী আসবে বলে আমার মনে হচ্ছিল না। এতক্ষণ ঘুরেও আমি একটুও বিচলিত হইনি কিন্তু এই বার আমি একটু ভয় পেয়ে গেলাম। আমি সাথে সাথে বনের ভেতরে ঢুকে গেলাম। দেখলাম ওরা আমার দিকেই আসছে আর এদিকেই তাকিয়ে আছে। ওরা কি চায়, কেন আসছে তা মোটামুটি আমার আর বুঝতে কিছুই বাকি রইলো না। আমি যে পথে এসেছি তার পুরোটাই আমার মনে ছিলো কিন্তু সেদিক যাবার আর উপায় নেই, কারন সেদিক থেকেই ছেলে গুলো আসছিলো। আমি বনের ভেতর দিয়ে জোর পায়ে হাঁটতে লাগলাম। কিন্তু, একটু পরেই আমি আবার ওদের সরাসরি দেখতে পাচ্ছিলাম। এবার ওরা আরও জোরে এগিয়ে আসছে আর আমাকে ডাকছে, যেন ওরা আমাকে সাহায্য করতে চায়। বুঝলাম ওরা পথ চেনে আর আমি আন্দেজে হাঁটছি তাই এমন হচ্ছে। প্রচন্ড রকম ভয় পেয়ে গেলাম। একটা মাঠ পেরিয়ে আরেকটা বনে ঢুকলাম। চিন্তা করছিলাম আমার কি করা উচিত। এতক্ষনে ওরাও বুঝে গেলো যে আমি ওদের মতলব বুঝে গেছি। আমাকে বনের ভেতর ঢুকতে দেখে ছেলে দুটো আমার দিকে প্রায় দৌড়াতে শুরু করল। কিছুই বুঝে উঠতে পারছিলাম না যে আমার কি করা উচিত। আমি কি দৌড় দেব নাকি কোথাও লুকাবো। দৌড় দিলেও বা আমি কোন দিকে দৌড়াবো, কোন দিকে জনবসতি কাছে হবে, কিছুই বুঝতে পারছিলাম না। ওদের আর আমার মাঝে কেবল একটা মাঠের মত জায়গা। আমি তখনো হতম্ব হয়ে ছিলাম। “দিকবিদিক জ্ঞান শূণ্যতা” যে কি জিনিস সেটা আমি আজ বুঝতে পেরেছি। আল্লাহতায়ালার নিকট অশেষ শুকরিয়া যে, তখনি আমার মনে পড়লো সেই ৯০ ডিগ্রি মোড় নিয়ে এদিকে আসার কথা। যেহেতু ইটের পথ থেকে বনের পথে আসার সময় একটা ৯০ ডিগ্রি মোড় নিয়ে উত্তরে এসেছিলাম আবার পশ্চিমে আসার সময় আরেকটা বাঁক নিয়েছিলাম, তাহলে, এবার আবার সোজা দক্ষিণে বা দক্ষিণ-পশ্চিম কোণে গেলে সেই ইটের পথ বা মুল গেইট কোন একটার কাছাকাছি যেতে পারার কথা। এটা ভেবেই সাথে সাথে দৌড় লাগালাম। ছেলে দুইটা চিৎকার করা শুরু করল দাঁড়া... দাঁড়া... বলে। আমার তখন আর কিছুতেই খেয়াল নেই কেবল দোউড়াচ্ছি। মিনিট খানেক দৌড়ানোর পর আমার পাশেরই একটা বাগানের ভেতর থেকে আরেকটা ছেলে দাও জাতীয় কিছু একটা হাতে নিয়ে বেরিয়ে আসলো আর আমাকে দাঁড়াতে বলছিল। এক মিনিট দৌড়েই আমার তখন বেহাল দশা। তার উপর এই ছেলেটার এভাবে দাও হাতে নিয়ে চিৎকার করতে করতে আসা দেখে আমার প্রায় জ্ঞান হারানোর অবস্থা। এই মুহূর্তটা কোন ভাষায় বোঝানো কারো পক্ষে সম্ভব কিনা আমি জানিনা। এটার কথা ভেবে এখনো আমার গায়ের লোম শিহরিত হচ্ছে। আমার পা থেকে মাথা পর্যন্ত বিদ্যুৎ খেলে গিয়েছিলো তখন। জানি না আমার ক্লান্ত পায়ে কোথেকে তখন এত জোর চলে এল। সব ক্লান্তি, ব্যাথা ভুলে আমি পাগলের মত দৌড় দিলাম। বন-বাগান, মাঠ, কাঁটা ঝোপ-ঝাড় সবকিছু ডিঙ্গিয়ে কেবল ছুটে চলেছি উন্মাদের মত। পেছনে তিনটা ছেলেই চিৎকার করতে করতে দৌড়াচ্ছিল। ভয় আর উত্তেজনা উভয়ের মিশেলে আমি তখন ফুটছিলাম, যেটা বোঝানোর সাধ্য আমার নেই। মিনিট দুয়েক এভাবে প্রান হাতে নিয়ে দৌড়ানোর পর ওদের চিৎকারের আওয়াজ ছোট হয়ে এল। আমি কেবল আল্লাহর নাম নিচ্ছিলাম আর ছুটছিলাম। ভয় পাচ্ছিলাম ওরা আবার সামনে কোথা থেকে বের হয়ে আসে কিনা। কাঁটা ঝোপ-ঝাড়ে লেগে আমার পা আর প্যান্টের দফারফা হয়ে গেল। তার উপর ভারি জুতা আর কাঁধে ব্যাগ নিয়ে আর দৌড়াতে পারছিলাম না কিন্তু ভয়ে থামতেও পারছিলাম না। ঠিক তখনই মনে হল, ওরাতো আমাকে মারবে না। শুধু আমার টাকা-জিনিসপত্র যা আছে তা নেবে আর আহত করে রেখে যাবে। মনে পড়লো আমার অনেক শখের মোবাইটা আর মোবাইলের মাঝে সারাদিনের তোলা সব ছবির কথা। মানিব্যাগে মেসের কিছু টাকা। প্রায় আশা ছেড়ে দিয়ে মোবাইল আর মানিব্যাগটা একটা জায়গা দেখে ছুড়ে ফেললাম (যদিও সেটা একেবারেই বোকামী ছিল, ধরা যদি পড়েই যেতাম তবে বারোটা বাজাতো)। আর আমি তক্ষনো দৌড়ে চলেছি। পেছনে ওরা আছে কি নাই তাও জানি না। এভাবে প্রায় তিন-চার মিনিট দৌড়ে এসে অবশেষে কয়েকজন মানুষের দেখা পেলাম। প্রায় সাথে সাথেই যেন আমার পা আর হৃদপিণ্ড একসাথে থেমে গেলো। যেন আর এক পা এগোলেই আমি মারা যাবো। জোরে একটা ডাক দিয়ে সেখানেই বসে পড়লাম। হৃদপিণ্ডের সাথে সাথে আমার মাথার ভেতরও যেন কিছু একটা নড়ছিলো। প্রত্যেকটা শিরা-উপশিরার রক্ত প্রবাহ, হৃদপিণ্ডের প্রত্যেকটা শব্দ, ফুসফুসের ফুলে ওঠা সব যেন আমি তখন দিনের আলোর মত পরিষ্কার অনুভব করছিলাম। চোখেও অন্ধকার দেখছিলাম। এমন দৌড় আমি জীবনে আর কখনো দৌড়াইনি। মনে হচ্ছিল যেন আমি মারা যাচ্ছি।
আমার ডাক শুনে ওই লোকগুলো আমাকে দেখতে পেল। এগিয়ে এসে আমাকে পানি খাওয়ালো আর আশ্বস্ত করল। হাফ লিটারের দুই বোতল পানি খেয়ে প্রায় পাঁচ মিনিট বসে থাকার পরও আমার শ্বাসপ্রশ্বাসের গতি কমলো না। আমি বলার আগেই ওনারা ঘটনা বুঝে গিয়েছিলেন। কিছুটা ধাতস্থ হয়ে ওনাদের সব খুলে বললাম আমি। তারপর, ওনারা সহ আবার কিছুটা দূর পেছনে গিয়ে আমার মোবাইল আর মানিব্যাগটা খুঁজে আনলাম। ফিরে এসে হাতমুখ ধুয়ে আরও কিছুক্ষন বিশ্রাম নিয়ে তারপর বেরিয়ে এলাম। আমার জন্যে ঐ ভাইদেরও আর ঘুরা হলো না। তারপর, সবাই মিলে নাস্তা করে উনাদের বিদায় জানিয়ে ফিরতি পথের গাড়িতে উঠলাম। আসার পথে পুরো ঘটনাটা একবার মনের পর্দায় এনে ভাবলাম আর মনে মনে আল্লাহ তায়ালাকে হাজার শুকরিয়া জানালাম। মনে মনে শিউরে এই ভেবে যে, ওরা আমার টাকা-পয়সা নেয়ার পাশাপাশি আমাকে শারীরিকভাবেও ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারতো। আজ স্বয়ং আল্লাহর হস্তক্ষেপে আমি বেঁচে গেলাম। কিন্তু, অন্য কোন দিন অন্য কারো সাথে এমনটা নাও হতে পারে। আর তাই এই পোস্ট করা। যাতে আমাদের দেশের পর্যটন ব্যবস্থার অবস্থা সম্পর্কে সবাইকে সচেতন করা যায়।
পার্ক থেকে বের হবার সময় নিরাপত্তা রক্ষাকারী পুলিশের একটা গাড়ি দেখলাম পার্কের ভেতরেই। একবার ভাবলাম গিয়ে কমপ্লেইন করি। কিন্তু, তারপরই মনে হল, তারা তাদের ব্যর্থতা-অপারগতাতে ভ্রুক্ষেপ না করে কেবল আমাকে একটা প্রশ্ন দিয়েই বারবার নাজেহাল করবে, সেটা হল, “আমি ওদিকে কেন গিয়েছি ?” আর এই প্রশ্নের যে উত্তর আমার কাছে আছে তা দিয়ে ওনাদের সন্তুষ্ট করা যাবে না। আমি এক্ষেত্রে আমার কথা বাদই দিলাম, কিন্তু, অন্য কেউতো ভুল করেও যেতে পারতো ওদিকে। আমার সময়ের হিসাব আর পার্কের আকার অনুযায়ী আমি খুব বেশি গভীরে যাইনি, শুধু একটু নির্জন অংশে গিয়েছিলাম। বনের তথা প্রকৃতির সৌন্দর্যের পিপাসা তো আর কেবল জোড়ায় জোড়ায় নর-নারী আর মানুষের হাটা-চলা দেখে মেটানো সম্ভব না। কিন্তু, তারপরও এই অবস্থা, এইটুকু অংশের মধ্যেই !!! তাহলে, এই পার্কে তাদের (নিরাপত্তা রক্ষী বা পুলিশের) কাজটা কি ? আর সব কথার শেষে উপসংহার টানবেন এই বলে যে, “একটা জিডি করুন” ব্যাস এইটুকুই। আর যে পশু গুলা আমাকে এই পরিস্থিতিতে ফেললো তাদের কথা আর কিই বা বলবো। বনের একটা রাস্তায় লেখা ছিলো “বিপদজনক এলাকা” আর সেটা দেখে ভাবছিলাম এই বনে কি কি বন্যপ্রাণি থাকতে পারে। যদিও এখানে বাঘ-ভাল্লুক কিছুই নেই। কিন্তু তবুও, হিংস্র প্রাণী বলতে এগুলোর নামই মনে আসছিল, কল্পনায় ভাবছিলাম এখন হঠাৎ এদের মুখোমুখি হলে কেমন হবে, কি করতে হবে এইসব। কিন্তু আফসোস, অন্য কোন প্রাণী নয়, বরং আমার নিজের গোত্রেরই কয়েকটা প্রাণী কাল আমাকে আক্রমণ করেছিলো। যাদের আমার মতই একটা বিবেক আছে। যারা কিনা আমার আপনার মতই “সৃষ্টির সেরা জীব”। একটা বাক্য এর আগে কয়েকবার শুনেছিলাম আর কাল প্রত্যক্ষভাবে বুঝলাম, “বন্যপ্রাণী কখনোই মানুষের চেয়ে হিংস্র নয়”।
সবশেষে আবারো আল্লাহ পাকের নিকট হাজারো শুকরিয়া জানাচ্ছি আমাকে কাল এই বিপদ থেকে সুস্থভাবে উদ্ধার করার জন্যে আর, বছরের শুরুতেই অ্যাড্রেনালিনের এমন একটা ফুল ডোজের জন্যে। ব্যাক্তিগত জীবনে বেশ অ্যাডভেঞ্চার প্রীয় হলেও সত্যিকারের অ্যাডভেঞ্চার যে কি জিনিস সেটা কাল হাড়ে হাড়ে টের পেলাম। তাই, আমার মত এমন অ্যাডভেঞ্চার প্রীয় আর যারা আছেন তাদের উদ্দেশ্যে বলছি, “সাবধান, অ্যাডভেঞ্চারের সাইড ইফেক্ট কিন্তু একই সাথে মারাত্মক বিপদজনক এন্ড ডেঞ্জারাস

চলুন এবার নিস্তব্ধ ভাওয়ালের কিছু ছবি দেখা যাক।
সামুতে আসা যাওয়া সেই ২০১০-১১ থেকে হলেও, এটাই কিন্তু আমার প্রথম পোস্ট। তাই, বড় ভাইয়াদেরকে বলছি, কোন ভুলত্রুটি থাকলেও দয়া করে চোখ রাঙ্গাবেন না। এমনিতেই কালকের ডোজটার রেশ এখনো কাটেনি। সবার প্রতি রইল শুভ কামনা, আল্লাহ সবার মঙ্গল করুক।
হ্যাপি ট্রাভেলিং .....
FB: http://www.facebook.com/intiazmahmud
Gmail: intiazmahmud@gmail.com
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৯:১৩