বাড়ীতে কার যেন বিয়ে। নানা স্থান থেকে অনেক আত্মীয় স্বজন এসেছে। সমবয়সীই জুটে গেছে ৫/৬ জন। ফুটবল, হাডুডু, গোল্লাছুট সহ নানা আয়োজনের মাধ্যমে দিনটা শেষ করেছি। মুল এডভেঞ্চার পর্ব রাতে,এক বান আবুল বিড়ি আর দুইটা ম্যাচ কিনে তার প্রস্তুতিও শেষ করে রেখেছি। সাথে মাউথ ওয়াশ হিসেবে পর্যাপ্ত আমগাছের কচি পাতা।
এই কাজ আমরা যে এইই প্রথমবার করছি ঘটনা এমন নয়, তবে তখন ধুম্র উদগীরন বস্তু ছিল পাঠ খড়ীর , এবারের মাল জেনুইন। মাস খানেক আগেও আমরা ধুম্র ফুঁকেছিলাম। এক সন্ধ্যায় জনৈক পথচারী আমাদের সামনে বিড়ির গোড়ালি ফেলে হন হন করে চলে গিয়েছিল। গবি হামলে পড়লো গোড়ালির উপর, পরক্ষনেই গালি; মাদার-দ খবিশ! পুরাই খাই ফেলছে। তার পরও বেশ কোশেশ করে দুই টান গবি আর এক টান সেলিম দিয়ে আমার দিকে যখন বাড়িয়ে দিল, দেখি আমি ঠোঁট লাগানোর মত কোন জায়গা বিড়িতে নাই, খেতে হলে আমাকে কয়লাটাই চিবিয়ে খেতে হবে।দুই নখ দিয়ে ধরে আমার দিকে যে কয়লাটা বাড়িয়ে ধরেছিল তার নখ পুড়ে যাচ্ছে দেখে সেইই জিনিষটা ফেলে আঙ্গুল রক্ষা করেছে।
গবি আমার পিঠ চাপড়ে বলল – মন খারাপ করিস না, আপার বিয়ের আর মাস খানেক বাকি দেখুম কয়টা খাইতে পারস। আজকেই সেই কাঙ্ক্ষিত বিয়ের গায়ে হলুদ। আজকেই চলবে আমাদের বিড়ি টানা অনুষ্ঠান। শুধু যে বিড়ি টানা তা নয় আজকের অনুষ্ঠানটা বেশ গুরুত্বপূর্ণ ও শিক্ষণীয়ও বটে। কারণ গবি পূর্বেই ঘোষণা দিয়েছে কিভাবে নাক দিয়ে ধোঁয়া ছাড়তে হয় আজ তা শিখানো হবে।
আমাদের যে কোচ,অবৈধ মালগুলি সেই গবির কাছে রক্ষিত আছে। আমরা সবায় একত্রিত হবার আগেই গোয়াল ঘরের চিপায় গিয়ে গবি একটাতে অগ্নিসংযোগ করে নাক দিয়ে ধোঁয়া উদ্গিরন পর্বের রিহার্সেল দিচ্ছিল। তার খুক খুক কাশির শব্দে রঙ্গমঞ্চে আগমন ঘটে মুরুব্বিস্থানিয় এক ভিলেনের, তিনি গবিকে শুধু কানচড় মেরেই থেমে থাকেন নি, সাথে হাতিয়ে নিয়েছেন সব অবৈধ মাল।
গবির কাছে সব ঘটনা শুনে সেলিম ক্ষেপে উঠলো। সে সব সময় পকেটে মারণাস্ত্র নিয়ে ঘুরে। সিদ্ধান্ত হল ওটা ওই ভিলেনের উপর প্রয়োগ করা হবে। আমরা পরিকল্পনায় বসলাম কিভাবে মারণাস্ত্রের সফল প্রয়োগ ঘটানো যায়। (মারণাস্ত্রটি হল ‘বান্দরিয়ার শলা’’ ভাল নাম আলকুশি বা বিলাই খামচি।চোতরা পাতা জাতীয় গা চুলকানো বস্তু)
সংবিধিবদ্ধ সতর্কিকরনঃ ধূমপান স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:২৮