মঈন ফখর সবে ক্ষমতায় ।
বিয়ের তৃতীয় দিন রাত ১০ টায় রড সিমেন্টের দোকান বন্দ্ব করে আমাদের মিরু (ছদ্ম ) যাচ্ছে শ্বশুর বাড়ী ।
যাওয়ার সময় মাছ ব্যাবসায়ী হেঞ্জু মিয়া তাকে দশাসই এক কাতল ৪২শ টাকায় গছিয়ে দিল ।
এত রাতে ব্যাগ পাওয়া যায়নি , তাই কানকোতে রশি ডুকিয়ে সিএনজি করে রওয়ানা হল মিরু ।
মুতিগন্জ বাজার পার হওয়ার পর পড়লো সেনা টহল গাড়ীর সামনে ।
- হল্ট !
সিএনজি থামলো ।
সেনাবাহিনী তখন মূর্তিমান আতংক । মিরুর দুই হাটুর কম্পন তার নিয়ন্ত্রনের বাইরে চলে গেছে ।
- এটা কি ?
মিরু বললো কাতলা মাছ । বলার পর আশ্চর্য হয়ে লক্ষ্য করলো তার মুখ নড়েছে ঠিকই কোন শব্দ বেরোয়নি ।
- বোবার ভান ?
- ঠাশ !!!
-মাৎলা কাছ স্যার , মাৎলা কাছ ।
অক্ষর এলোমেলো হয়ে গেছে ,আরেক ঠাশ এর পূর্বেই শুধরে নিল ।
- কাৎলা মাছ স্যার , কাৎলা মাছ ।
-পেটের ভিতর কি ?
- ডিম , স্যার ।
- কেমনে বুঝলি ডিম , তুই কি পেটের ভিতর ডুকেছিস ?
মিরু চুপ ।
- কয় পুরিয়া ডুকাইছস ?
- জী স্যার ?
- পেট কাট ।
পাশের বাড়ী থেকে দাও আনা হল । অনেক কস্টে কানের নিচ দিয়ে কেটে মিরু মাছটা দুই টুকরা করলো ।
কিন্তু পেটের দেখা নাই । আবার পেট বরাবর আরেক টুকরা ।
পেট থেকে মাল মশলা বের করতে গিয়ে কিছু তার গায়ে ছিটকে পড়লো ।
পুরিয়া টুরিয়া পাওয়া গেল না ।
উল্টা ধমক !
- ছিনতাই করস নাকি ? এত বড় মাছ কিভাবে কিনলি ?
অনেক কৈফিয়তের পর রাত একটার দিকে টুকরা তিনটা নিয়ে শ্বশুরালয়ে পুনঃ যাত্রা ।
শ্বশুর বাড়ীর সামনে নেমে দেখা গেল দু;টুকরা পথে পড়ে গেছে , শুধু লেইন্জা আছে ।
ড্রাইভারকে বললো এটা তুই নিয়ে যা ।
ড্রাইভার বললো রাতের তিনটায় মাছের লেনজা এইখান নিয়া ঘরে গেলে বউয়ের মাইর খাইতে হইবো ।
- তাইলে ফেলে দে ।
-- রাতে নতুন বউ কয় , আমনের লগে এইরাম মাছের বাস ক্যা ? ঘটকে কইলো রড সিমেন্টের দোকান !
ওরে আল্লারে ! আমার কপালে বুঝি এই ছিল গো ------
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:০৪