পুত্রের মহা আগ্রহ , সে গো-হাট পরিদর্শন করিবেক । তাহার মাতৃ কতৃক , বৃষদিগের পদাঘাত কিংবা শিঙ্গাঘাত খাইবার ভীতি প্রদর্শনে পুত্র মোটেই বিচলিত হইল না , উপরন্তু হাস্যমুখে এমন ভঙ্গিমা করিল যেন বৃষাঘাত কোন মজার বিষয় হইবেক ।
অদ্য বুধ বার যথা সময়ে দোহে মিলে গোহাটে পদার্পন করিলাম ।
সহস্রাধিক পশুর মহাসম্মিলন দর্শন ,
পুত্রের জীবনে এই প্রথম । তার হাস্য ক্ষনে ক্ষনে আকর্ণ বিস্তৃতি লাভ করিতেছে ।
মৈনাক পর্বত সম নেপালী বৃষ দর্শন করাইলাম , হস্তিবৎ মহিষও বাদ রহিল না ।
তাহার ছাগ দর্শনের আগ্রহ লাঘবে সবে কদম সঞ্চালন করিতেছি তৎসময়ে বিপত্তিটা বাঁধিল ।
এতক্ষনে পুত্র "গরুর হাগু" হইতে নিজের পদযুগল কে সযতনে রক্ষা করিয়াছিল । এইক্ষনে অসতর্কতা বশত তাহার দক্ষিন পদ একদলা গোবিষ্ঠায় নিক্ষিপ্ত হইল ।
তাহার ভয়ার্ত চিৎকার শ্রবন করিয়া , কোন দুর্বৃত্ত ষাঁড় কতৃক আঘাতপ্রাপ্ত হইল কিনা ভাবিত হইয়া বিচলিত হইলাম ।
পরক্ষনেই চিৎকারের হেতু অনুধাবন করিয়া তাহাকে আলগাইয়া পূস্কুরিনী ঘাটে ঢন্ডায়মান করাইলাম ।
তাৎক্ষনিক সিদ্দ্বান্তে পুত্র অর্ধসহস্র মূল্যমানের পাদুকা জোড়া পুস্কুরিনীতে নিক্ষেপ করিল । এই অনাচার সংযুক্ত পাদুকা সে পদে পুনস্থাপন করিবে না ।
উত্তম রূপে পদদ্বয় ধৌত করাইবার পরবর্তিতেও , সাবানবিহীন এই ধৌত কর্ম তাহার মনপুত হইতেছিল না ।
শুধইলাম , তাহা হইলে এক কর্ম সম্পাদন করি ; তোমার পদদ্বয়ও পাদুকাবত পুস্কুরিনীতে নিক্ষেপ করিয়া দেই ?
দেখিলাম পদের প্রতি পুত্রের বড়ই মায়া , সে পদত্যাগ করিতে মোটেই আগ্রহী নহে ।
ভাবিলাম , আমাদের উজীর নাজীর গন যেইখানে , মনুষ্য বিষ্টাবৎ দুর্নিতীতে পদঙ্খলিত হইয়াও পদত্যাগে রাজী থাকেন না , সেইখানে সামান্য গো-বিষ্টায় পদার্পন করিয়া আমার পুত্রই বা কেন পদত্যাগ করিবে ?