মাস্টার দ্বিজলাল মজুমদার । ২৬ বছর বয়স থেকে পাত্রি দেখছেন । পাত্রি যে পছন্দ হচ্ছে না একথাতো বয়স বেটাকে বুঝানো যাচ্ছেনা , তাই মেঘে রৌদ্রে বয়স গিয়ে ৪৮ এ ঠেকেছে ।
খেলাধুলা করেন বিধায় বয়স ৩৫ বললেও কেউ প্রশ্ন তুলেন না ।
ছেলের বউ দেখার অপেক্ষায় থেকে থেকে পিতৃদেব আর মাতৃদেবী অনেক আগেই গত হয়েছেন । এক বিধবা বৃদ্দ্বা ফুফু দুমুঠো রেঁধে দেন ,নিজেও খান ।
যম সাহেব যথা সময়ে কৃপা করলে এই বুড়ির ২০তম ইহধাম ত্যাগ দিবস ও পেরিয়ে যাওয়ার কথা ।
বুড়ি এখন শয্যা নিয়েছেন , মনে হচ্ছে যম আর সময় দিতে রাজি নয় ।
তাই মাস্টার দ্বিজলাল মজুমদার ফাইনাল সিদ্দ্বান্ত নিয়ে ফেলেছেন । পছন্দ হোক আর না হোক আগামী কাল যে মেয়েটি দেখবেন বিয়ে সেখানে হবেই । এই সংবাদে পিতৃহীন কন্যার ভাগ্নিদায়গ্রস্থ
মামারাও মহা খুশী ।
স্বজাতীর সংগে উনার তেমন একটা উঠাবসা নাই , তাই জুনিয়র ফ্রেন্ড হিসেবে আমি আর ভাতিজা সাহাবউদ্দিন হবু বরের সংগি ।
( মোবাইলে লিখছি তাই বিতং করার সুযোগ নাই)
যথা সময়ে যথাস্থানে পৌছে সবে নাস্তা পবর্
সেরেছি এমন সময় অন্দর মহলে শোরগোল শুনা গেল । আমি সাইজে একটু ছোট বিধায় ঘটনার সুলুক সন্ধানে ভিতরে ডুকে গেলাম ।
দেখলাম মেয়ের মা মূছর্িত । আহারে বেচারীর উপর মনে হয় সারাদিন অনেক কাজের ধকল গিয়েছে । পাখার বাতাস, পানির ঝাপটা আর কিঞ্ছিত সেবায় মূছর্িতার হুঁশ ফিরে এলো ।
কি হইছে কি হইছে বলে সবাই তার উপর ঝুঁকে পড়লো ।
মহিলা বিলাপ করে বললো , ওরে বেড়ার ফাঁক দিয়া আমি পাত্ররে দেখলাম ।
তোরা আমার বাপ মরা মেয়েটাকে সাগরে ভাসিয়ে দিবি নাকিরে । কোথা থেকে বুইড়া একটা ধইরা আনছেরে ......
ভিড়ের মধ্যে থেকে কে একজন বললো - কিসের বুইড়া ,ঘটকতো কইলো সবে ৩৫ ।
মহিলা আবার বিলাপ জুড়ে দিল - ওরে নারে না , এই বেটার লগে আমার বিয়া হওনের কথা আছিল , বেটার বয়স বেশী দেইখা তখন আমার বড় দাদা বিয়ে দেয়নাই ।
ভিড়ের মধ্য থেকে পাগল টাইফ একজন বলল , -কির পুতেরে খাইছি ,আমার লাঠি কইরে -----
-কির পুতটা ঘটক না পানি প্রাথির্ সেই বিচারে না গিয়ে একলাফে সামনের রুমে এসে দ্বীজদা দৌড়ান বলেই দিলাম দৌড় ।
-- দৌড়---দৌড়---দৌড় , পেছনে লাঠি নিয়ে পাগলটাও দৌড়াচ্ছে আর লাঠি ঘুরাচ্ছে ,প্রান ভয়ে আমরা তিন জনতো তখন উসাইন ভোল্টের বাপ ।
উৎসগর্ ঃ যার জন্য পাত্রি খোঁজা হচ্ছে , যার আজকের পোস্ট দেখে এই লিখার অবতারনা , সেই কল্যানিয়াষু ব্লগার কবি তরুন তূকীর্ সেলিম আনোয়ারকে ।