ওগো সুদূরের মেয়ে ,
বেলাশেষের পথে কুড়িয়ে পাওয়া এক মেয়েকে আমার এ লেখা । আমি চোখের জলে ভিজিয়ে লিখছি এ লেখাটুকু । সে মেয়ে আমার এ লেখা পড়বে কিনা জানিনে । তবুও তার জন্যে লিখে যাবো আমি হাযার বছর ধরে । সে যদি জানতো, হায় - যদি সে জানতো ; তাকে ছুতেঁ না পারার ব্যথা আমার কতোটুকু তবে তাকে বলতাম “বন্দী করা এক পাখীর কাছে জেনে নিও” ।
যে তীর, সে আমার বুকে একপ্রহরের খেলার ছলে বিঁধিয়ে রেখে গেছে, তার যে যাতনা; সেই মেয়ে কি তা জানে ?
সে যখন এটি পড়বে, তার কি মনে হবে তখন “ ইয়ে ক্যা হুঁয়া ? ক্যায়সে হুঁয়া - ক্যিউ হুঁয়া” ? সে কি জানে, আমি যে ঘুম ভেঙ্গে পথ চেয়ে রই তারই একটি চরনের ধ্বনি শুনবো বলে ? তার চোখও কি একটুখানি জলে ভরে উঠবে তখন ? হায়, আমি যদি জানতাম !
সে কি কোনদিন জানবে, আমি বাতাস হয়ে দক্ষিনে যাবো শুধু তারই জন্যে ? সে বাতাস যদি কোনদিন তার বুকের আঁচল উড়িয়ে নিয়ে যায়, সে কি লজ্জা পাবে ?
আমি তো শঙ্খসাদা জ্যোৎস্না রাতেও প্রতীক্ষাতে জেগে থাকি তার, কি জানি যদি সে আসে কোনদিন আর আমায় না পেয়ে ফিরে যায় !
সে এসব জানবেনা কোনদিন । বুঝতে চাইবেনা, আমার এ লেখার প্রতিটি শব্দে কী গভীর এক প্রেম লুকানো । জানতে চাইবে না - সে মেয়েটি যে একান্তই আপন আমার, গহীন নিভৃতচারিনী ! আমি তাকে দেখি আমার ভুবনে দু’চোখ ভরে । অদৃশ্য তার কায়াহীন ছায়া আমাকে নিয়ে যায় এক দারুচিনি দ্বীপে । আমার ভয় হয়, এ ছবি যদি মুছে যায় কোনদিন ! তখন সেদিন, সে মেয়েকে আমি একবার শুধু কানে কানে বলে যাবো -
"সুখস্মৃতি-
নাহি কিছু মনে ? যদি আনন্দের গীতি
কোনদিন বেজে থাকে অন্তরে বাহিরে,
যদি কোনও সন্ধ্যাবেলা বেনুমতীতীরে
অধ্যয়ন অবসরে বসি পুষ্পবনে
অপূর্ব পুলকরাশি জেগে থাকে মনে
ফুলের সৌরভসম হৃদয় উচ্ছাস
ব্যাপ্ত করে দিয়ে থাকে সায়াহ্ন আকাশ
ফুটন্ত নিকুঞ্জতল, সেই সুখকথা
মনে রেখো ।”
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১৯