নিচের প্রতিটি খবরই কিছুক্ষণ আগে কয়েকটি নির্ভরযোগ্য সূত্র থেকে পাওয়া। সূত্রগুলোর প্রত্যেকেই এই মুহূর্তে পিলখানার ভেতরে অবস্থান করছেন।
১. পিলখানার ভেতরে মাত্র একটি গর্তে তিন ট্রাক লাশ ফেলা হয়েছে বলে জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছেন ধৃত বিডিআর সদস্যরা। সহকর্মীদের লাশের খোঁজে সেনাসদস্যরা এই মুহূর্তে ওই গর্তে অনুসন্ধান কাজ চালাচ্ছেন। এখনো খোঁড়াখুড়ি চলছে। সূত্র নিশ্চিত করেছেন, ওই একটি গর্ত থেকেই এ পর্যন্ত ৩৫টি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এদের সকলেই প্রেষণে বিডিআরে যাওয়া সেনাকর্মকর্তা।
২. আজ সকালে পিলখানার ভেতরে প্রতিমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক বিক্ষুব্ধ সেনাসদস্যদের হাতে লাঞ্ছিত হয়েছেন।
৩. জেএমবির শীর্ষ নেতা বাংলা ভাই ও শায়খ আবদুর রহমানের গ্রেপ্তারে যিনি অসাধারণ ভূমিকা রেখেছিলেন, রেবের সাবেক মহাপরিচালক সেই কর্নেল গুলজার বিডিআরের বিদ্রোহী সদস্যদের হাতে নিহত হয়েছেন।
৪. গোয়েন্দা সূত্র জানিয়েছেন, বুধবার বিডিআর দরবার হলে ২০ থেকে ২৫ জন সেনাকর্মকর্তাকে হত্যা করা হয়। বাকি সব সেনাকর্মকর্তাকেই হত্যা করা হয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার পর।
৫. বিডিআর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল শাকিলের গোঁফ প্রথমে একটি একটি করে উপড়ে ফেলা হয়। পরে তার শরীর টুকরো টুকরো করে পুড়িয়ে ফেলা হয়। ব্রিগেডিয়ার বারীর লাশও টুকরো টুকরো করে পুড়ে ফেলা হয়েছে বলে ধৃত বিডিআর সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদে নিশ্চিত হওয়া গেছে। তবে দেহভস্মের খোঁজ এখনো মেলেনি।
৬. বিডিআর সদস্যদের মধ্যে একটি উল্লেখযোগ্য অংশ বিদ্রোহ এবং সেনাকর্মকর্তাদের হত্যার পক্ষে ছিলেন না। প্রধানমন্ত্রীর সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার পর তাদের অনেককেই হত্যা করে বিদ্রোহী বিডিআর সদস্যরা।
৭. সরকার মিডিয়াকে পিলখানার ভেতরে ঢুকতে দিচ্ছে না।
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ৩:২৩