বিয়ে করতে এসে যেইসব ফকির বাবারা আমার বাবার কাছে হাত পাতবে তাদের হাত ঘ্যাচ ঘ্যাচাং করে কেটে দেয়া হবে এবং মুরা বারুন (ঝাঁটা ) দিয়ে পিটানো হবে কইলাম। হাহহা!গত বছর একটারে বারুন দিয়া পিটাইতে চাইছিলাম, শেষে ভাগছে।
ফকির বাবারা ভিক্ষা কইরবার চাইলে রাস্তাত যাইয়া খারাই থাকো ... হামার বাড়িত ক্যানে বাহে?
কৌতুক ছলে বললাম কিন্তু কাজটা করবো যদি সেরকম পাবলিক আসে!
এ কথা শুনে আমার এক বন্ধুও কৌতুক করে বলেছিলো -
কন্যার সুখের জন্য, কন্যাকে আরামে ঘুমানোর জন্য কন্যার বাপ যদি একটা খাট দেয়, ঠান্ডা পানি খাওয়ার জন্য ফ্রিজ দেয়, গরমে যেন কষ্ট না হয় সেজন্য এসি দেয়, টাইম পাসের জন্য টিভি দেয়, খাবার গরম করতে ওভেন দেয়, এত সব জিনিস সাজিয়ে গুছিয়ে রাখার জন্য যদি একটা আলিশান ফ্ল্যাট দেয়, তাহলে আমি আর না করমুনা। হাজার হলেও শ্বশুড় আমার আপন মানুষ। মুরুব্বিরা দিলে নিতে হয়।
সেক্ষেত্রে কন্যাদায়গ্রস্ত পিতা-মাতাকে বলবো - কন্যাদায়গ্রস্ত শব্দটা থেকে মুক্তি পেতে কাড়ি কাড়ি টাকা কিংবা জিনিসপত্র দিয়ে কন্যার জন্য বিলাই মার্কা জামাই আনবেন না ।
যে পুরুষেরা সর্ব দিক দিয়ে নিজেদেরকে মেয়েদের থেকে শ্রেষ্ঠ মনে করে তারা কেনই বা ফকিরের মত মেয়ের বাপ-মায়ের কাছে হাত পাতে? কেনই বা তারা নারীর উপর নির্যাতন চালায়? তা কি শুধু পুরুষত্ব প্রমানের জন্য না কি নিজেদের দুর্বলতা ঢাকতে ...?
ভিক্ষা চাওয়া বা করার জন্য রাস্তা আছে সেখানে গিয়ে দাঁড়ান -- তবুও লাজ-লজ্জা ধুয়ে মেয়ের বাপ-মায়ের কাছে হাত পাতবেন না। আর যেসব ছেলের বাবা-মায়েরা ছেলের জন্য মেয়ের বাপ-মায়ের কাছে ভিক্ষা চান তাদের ও বলবো - রাস্তা এন মানুষের দরজা তো খোলা আছে - ছেলে সহ একটা থালা নিয়ে রাস্তায় নেমে যান ...।।