বিশ্বজিৎ দাস হত্যা মামলার রায়ে ৮ জনকে ফাঁসির আদেশ এবং ১৩ জনকে যাবজ্জীবন কারাদ- দিয়েছেন বিচারক। বুধবার দুপুরে ঢাকার দ্রুত বিচার-৪ এর বিচারক এ বি এম নিজামুল হক এই রায় ঘোষণা করেন। এর আগে ৪ ডিসেম্বর দুপুরে একই আদালতের বিচারক রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেন।
বিশ্বজিৎ দাস হত্যা মামলায় ৫ মার্চ ছাত্রলীগের ২১ কর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয় মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এই ২১ আসামির মধ্যে ৮ জন কারাগারে এবং বাকিরা পলাতক রয়েছে।
মৃত্যুদণ্ড পাওয়া আট আসামি হলেন রফিকুল ইসলাম ওরফে শাকিল, মাহফুজুর রহমান ওরফে নাহিদ, জি এম রাশেদুজ্জামান ওরফে শাওন, কাইয়ুম মিয়া, ইমদাদুল হক ওরফে এমদাদ, সাইফুল ইসলাম, রাজন তালুকদার ও নূরে আলম ওরফে লিমন। তাঁদের মধ্যে রাজন তালুকদার ও নূরে আলম পলাতক। বাকি ছয়জন কারাগারে আছেন।
যাবজ্জীবন কারাদণ্ড পাওয়া ১৩ আসামি হলেন এ এইচ এম কিবরিয়া, গোলাম মোস্তফা, খন্দকার ইউনুস আলী, তারেক বিন জোহর, আলাউদ্দিন, ওবায়দুল কাদের, ইমরান হোসেন, আজিজুর রহমান, আল আমিন শেখ, রফিকুল ইসলাম, মনিরুল হক পাভেল, কামরুল হাসান ও মোশাররফ হোসেন। এঁদের মধ্যে এস এম কিবরিয়া ও গোলাম মোস্তফা কারাগারে আছেন। বাকি ১১ জন পলাতক।
উল্লেখ্য, গত বছর ৯ ডিসেম্বর সকালে পুরান ঢাকার ৫৩ নম্বর ঋষিকেশ দাস রোডের বাসা থেকে তাঁতীবাজারে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে যাওয়ার পথে দর্জির কাজ করা বিশ্বজিৎ দাসকে (২৪) পুরান ঢাকার জজকোর্ট এলাকায় চাপাতি দিয়ে উপর্যপুরী কোপানো হয়। প্রাণ বাঁচাতে জীবন ভিক্ষা চেয়ে দৌড়ে পাশের একটি ক্লিনিকে গিয়ে আশ্রয় নিয়েও শেষ রক্ষা হয়নি তার। সন্ত্রাসীরা সেখানেও বিশ্বজিৎকে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে। রক্তাক্ত অবস্থায় দৌড়ে পালাতে গিয়েও আবার রড দিয়ে পিটিয়ে রক্তাক্ত করা হয়। সেখান থেকে এক রিকশাওয়ালা স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কিছুক্ষণ পর বিশ্বজিৎ দাস মারা যান।
শেষ কথা: বাকি কুত্তাদের ধরে দ্রুত রায় কার্যকর করা হোক।