ঘটনা টি আমার ১জন পরিচিত বড় ভাইএর ফেসবুক ওয়াল থেকে নেওয়া। উনি ১জন সামরিক কর্মকর্তা। তার লিখাটি হুবুহু তুলে দিলাম।
ঈদ উপলক্ষে সামান্য কিছু কেনাকাটা করতে গিয়েছিলাম রাজধানীর একটি অতি সাধারন শপিং জোন এ। এক দোকানে একটি পোশাক কিনতে গিয়ে দেখলাম দুইজন দোকানী একজন ক্রেতার সাথে কথা বলছেন। একটু খেয়াল করে দেখলাম একজন মধ্যবয়সী ভদ্রমহিলা এবং একটি মেয়ে(সম্ভবত ভার্সিটি স্টুডেন্ট ও সম্পর্কে মা মেয়ে) একটা থ্রিপিচ এর দামদর করছেন।
দরদামের এক পর্যায়ে ভদ্রমহিলা বিক্রেতার প্রত্যাশিত দামের প্রাই তিন ভাগের এক ভাগ দাম বিক্রেতার হাতে কোন মতো ধরিয়ে দিয়ে পোশাকটা নিয়ে গেলেন। ভদ্রমহিলাকে দেখলাম দোকানীর এবং দোকানের নাম জিজ্ঞেস করতে ভাবলাম হয়তবা উনারা পুর্বপরিচিত। কিন্তু দোকানী পিন্টুর অস্থিরতার কারন বুঝতে পারলাম না।
ঘোটনাক্রমে একই পোশাকের দাম আমার স্ত্রী জীজ্ঞেস করার পর সদ্য কৈশর পার করা পিন্টু সরলবিশ্বাসে বলল আপা উনি যে দামে নিয়েছে সে দামে পারব না বরং আপনি -----দিয়ে নিয়ে যান(প্রায় দ্বিগুন)। স্বাভাবিক ভাবেই আমি জানতে চাইলাম একই জিনিস দুই ক্রেতার কাছে দুরকম দাম কেন ?
পিন্টুর উত্তর ছিল সত্যি বিস্মিত হবার মত । সে বলল স্যার " এইহানকার দারোগার বউ আমারে আমার নাম আর দোকানের নাম জিগাই আর দারোগার লগে ফোনে কথা কইতে কই তাই ঝামেলাই না গিয়া যা দিছে তাই নিছি । লস হইছে অহন বেইচা পুশাইতে হইব।"
আমি কিছু মূহুর্ত স্তম্ভিত হয়ে গেলাম। আমার লেখার শুরুতে উল্লেখ করেছি এটা কোন অভিজাত বিপণি বিতান ছিল না। কিন্ত এই শ্রেনীর মানুষের উপর এরকম দারগার স্ত্রীদের জূলূম মহাস্মসানের জোক কেও হার মানায়...
পুনশ্চঃ পুলিশই এখন দেশের সব চেয়ে বড় মাস্তান।এটাও পুরাতন কথা হয়ে গেছে দেখছি।পুলিশ পরিবারও মাস্তান হয়ে গেছে।
আমি বলছি না যে পুলিশ পুরাটাই খারাপ। এদের মধ্যে অনেকে অনেক ভাল মানুষও আছে। কিন্তু কেন যেন মনে হয় তাদের সংখ্যা খুবই কম।
ভাল দিনের আশাই রইলাম।
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা জুলাই, ২০১৭ সকাল ৯:২০