অনেক বছর আগের একটা দিন মাঝে মাঝে খুব মনে পরে। আব্বু সকাল বেলা ঘুম থেকে তুলে স্কুলে নিয়ে গেলো। কোনো একটা অদ্ভুত কারনে আমি এর আগের কিছু মনে করতে পারি না। সেই যে শুরু আজও শেষ খুজে পেলাম না। মাঝে মাঝে ভাবি আদৌ কোনো শেষ আছে না শুধুই ছুটে চলা। চলতে চলতে ক্লান্ত হয়ে যাই, তবু চলা থামে না।
আমার জীবনটা এমন ছিলো না, স্কুলের শেষ বেন্ঞিটাতে বসে আমার জীবন ভালই কেটে যাচ্ছিল। তারপর সময় আসল স্কুলকে বিদায় জানানোর, চলে আসলাম কলেজ নামোক যায়গাটাতে, তারপর বিশ্ববিদ্যালয়ে। আমি খুব ভালো ভাবেই জানি আমার বিশ্ববিদ্যালয় জীবনটা আমি কিভাবে পার করেছি। পড়ালেখা বাদে আর যা যা করা সম্ভব ছিলো সবই বোধহয় করেছিলাম ঐ জীবনটাতে। যৌবন ছিলো, ছিলো খুজে দেখার ইচ্ছা, আর ছিলো রাসেল, হাসিব, ইমরুল, রেজা, জাফর, ডিউ, জামি, আদনান আরও অনেকেই।
আজকে আমার হাতে অফুরন্ত সময়, খুব পিছনে ফিরে যেতে ইচ্ছা হয়, না ভুল শোধরানোর জন্যে নয়, পুরোনো বন্ধুদের কাছে, পুরোনো জীবনটার কাছে। আমি হাজার বার ফিরে যেতে রাজি আছি, তবে একটিবারও শোধরাতে রাজি নাই। পুরো সময়টাই হয়তো নষ্ট করেছিলাম, তবুও মনে শান্তি ছিল। আজকে হয়তো পুরো সময়টাই কাজে লাগাই, তবুও ঐ জিনিস টা নাই। কোথায় যে খুজে পাবো কারো জানা নাই।
ইদানিং খুব ক্লান্ত লাগে। আর পারি না। এই ছুটে চলা আর ভালো লাগে না। আমি একবার রাস্তা হারিয়ে এক মারমা বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছিলাম। পরদিন সকাল বেলা যখন চলে আশি তখন গৃহকর্তার হাতে একটা নোট ধরানোর চেষ্টা করলাম, সে আমার দিকে খুবই অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকলো কিছুক্ষন। শেষে আমার কাছে জানতে চাইলো সে ঐটা দিয়ে কি করবে, তারতো মাসের বাজার করা শেষ? আমি কোনো উত্তর খুজে পেলাম, তবে একটা জিনিস নিয়ে আসলাম, তা হচ্ছে জীবন, শিখে আসলাম কতো সহজেই জীবন কাটানো যায়। অথচ এই জীবনের জন্যই আমার কত আয়োজন। নিজেকে খুব ঘেন্না হয়, খুব।