দেশজুড়ে প্রচন্ট শৈতপ্রবাহে ১১ জনের মৃত্যু। দেশের নানান অঞ্চলে শীতার্ত মানুষেরা আতংকের মধ্যে দিনাতিপাত করছে। সরকারী সাহায্যের অপর্যাপ্ততায় আক্রান্ত মানুষেরা মানবেতর জীবন যাপন করছে। খুট করে বন্ধ হয়ে গেলো এফ এম। কল আসলো- কোথায় আপনারা? সব রেডিতো? আমি এখন গুলিস্তানে আছি। কম্বল কিনেই পিক আপে করে রওয়ানা দিচ্ছি।--- আচ্ছা। ভাই। শোনেন!! আমি টিমের বাকীদেরকে নিয়ে রওয়ানা দিলাম। আপনি চলে আসেন। রংপুরে দেখা হচ্ছে। ছেলেটি কল কেটে দিয়ে প্রচন্ড ঠান্ডায় হাত টাকে হাতার ভেতর নিয়ে আসে। ঢাকায় এখন প্রচন্ড ঠান্ডা। তাহলে রংপুরে?
একটি টিম দুভাগে ভাগ হয়ে রওয়ানা হয়ে গেলো। এরা কারা? মনে প্রশ্ন জাগছে? এরা হচ্ছে এই শতাব্দির ভিন্ন কিছু মানুষ। যাদের অন্তরে অসহায় মানুষের জন্য রয়েছে অনেক দরদ। দেশের মানুষ এদেরকে পর্যাপ্ত সাহায্য করছে। যে যা পারছে তাই ঢেলে দিচ্ছে শীতার্ত মানুষের জন্য। আর তাই নিয়ে ছুটছে রানার। শীতের তীব্রতায় মানুষ যেখানে হাত পা কে কচ্ছপের মতো শরীরের ভেতরে সেঁধিয়ে রাখছে সেখানে এই সাহসী তরুনেরা মানবতার প্রতি দায়বদ্ধতার ভারি বস্তা কাঁধে করে দিগন্ত থেকে দূর দিগন্তে ছুটছে। এদের সফলতায় আপনাদের সবার, দেশবাসীর এবং আশ্রয়ের ভালোবাসা সঙ্গী হোক।
আবহাওয়া অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে যশোরে ৪ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং রংপুরে ৬ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।