somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

ফেনা
আমিও একদিন লাশ হব, সেই লাশ মাটির নিচে থেকে রোদ বৃষ্টিতে ভিজে অংগার হবে। বৃষ্টি ভিজা কাদায় শরীর ভিজে যাবে, শুধু অনুভবে নিথর লাশ হয়ে রয়ে যাব শেষ বিচারের অপেক্ষায়.......

কালপুরুষ নীহারিকা

০৭ ই জুন, ২০১৮ বিকাল ৫:৩৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


ত্রিকোণ মণ্ডলস্থ নিঃসরণ নীহারিকা (এনজিসি ৬০৪), যা এম ৩৩ ছায়াপথের কুণ্ডলিত বাহুর মধ্যে অবস্থিত।
নীহারিকা (nebula, ল্যাটিন: "কুয়াশা"; বহুবচন. nebulae অথবা nebulæ) ধূলিকণা, হাইড্রোজেন গ্যাস এবং প্লাসমা দ্বারা গঠিত এক ধরণের আন্তঃনাক্ষত্রিক মেঘ। একসময় নীহারিকা ছিল ছায়াপথ সহ যে কোন ধরণের বিস্তৃত জ্যোতির্বৈজ্ঞানিক বস্তুর সাধারণ নাম যা আকাশগঙ্গার বাইরে অবস্থিত। যেমন:বর্তমানে উল্লেখিত এনড্রোমিডা ছায়াপথের পূর্ব নাম ছিল এনড্রোমিডা নীহারিকা। বেশিরভাগ নীহারিকার ব্যাস সুবিশাল আকারের হয়।

২৬ নভেম্বর ১৬১০ সালে, নিকোলাস ক্লদ ফাবরি নামক এক ফরাসি ব্যক্তি টেলিস্কোপ দ্বারা কালপুরুষ নীহারিকা আবিষ্কার করেন। ১৬১৮ সালে যোহান ব্যাপটিস্ট নামক এক ব্যক্তি কালপুরুষ নীহারিকা টি পর্যবেক্ষণ করেন। যাইহোক কালপুরুষ নীহারিকাটি সম্পর্কে পুরোপুরি জানা যায় ১৬৫৯ সালে। ক্রিশ্চিয়ান হওজেন নামক এক ব্যক্তি এই সম্পর্কে বিশদ বর্ননা করেন।


ʼʼʼকালপুরুষ নীহারিকাʼʼʼ (যা মিজার ৪২বাএম ৪২ এবং এনজিসি ১৯৭৬ নামেও পরিচিত।) এটি একটি বিকীর্ণ নীহারিকা যা ছায়াপথের দক্ষিনে অবস্হিত এবং এটি একটি অন্যতম উজ্জ্বল নীহারিকা যা রাতের আকাশে খালি চোখে দেখা যায় । ʼʼএম ৪২ʼʼ এর অবস্হান ১,৩৪৪ ± ২০ আলোক বর্ষ এবং এটি পৃথবীর নিকটবর্তী বড় তারা গঠন অন্চলে অবস্হিত . কালপুরুষ নীহারিকাটি অনুমান করা হয় ২৪ আলোক বর্ষ জুড়ে। সূর্যের তুলনায় এটার ভর প্রায় ২০০০ বার। পুরাতন গ্রন্থে অনেক বার কালপুরুষ নীহারিকাকে 'গ্রেট নীহারিকা' বা 'গ্রেট কালপুরুষ নীহারিকা' বলা হয়েছে যেমন কালপুরুষ নীহারিকা পড়ুন. কালপুরুষ নীহারিকাটি রাতের আকাশে সর্বোচ্ছ যাচাইকৃত এবং ছবি ধারনকৃত এবং সর্বাধিক অধ্যায়িত স্বর্গীয় বৈশিষ্ট্যময় নীহারিকা. এই নীহারিকাটি তারা এবং পৃর্থীবীর গঠন সম্পর্কে অনেক তথ্য প্রকাশ করতে সাহয্য করেছে। এআরওয়াই পদ্ধতি গঠিত হয়ছে মেঘ,গ্যাস,এবং ধূলিকণা দ্বারা। জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা সরাসরি পর্যবেক্ষন করে দেখেছেন নীহারিকাটির চারপাশে তীব্র গ্যাসএবং প্রচন্ড গতিবেগ।

এই নীহারিকাটি খালিচোখে দৃশ্যমান এবং দূষনমুক্ত জায়গা থেকেও খালিচোখে দেখা যায়। এটা কালপুরুষ কর্তৃত্ব মাঝখানে "তারকা" হিসেবে দেখা হয় ,যার তিনটি বড় তারকা দক্ষিণ কালপুরুষ বেল্ট অবস্থিত। খালি চোখে তারাগুলো অস্পষ্ট/ঝাপসা দেখায়,ছোট দূরবীন অথবা ছোট টেলিস্কোপ এর মাধ্যামে পরিষ্কার দেখা যায়। কেন্দ্রীয় অঞ্চলের শীর্ষ পৃষ্ঠ উজ্জ্বলতা হল ১৭ Mag/arcsec2 and বাইরের নীলাভ ভাস একটি শিখর পৃষ্ঠ উজ্জ্বলতা আছে যা ২১.৩ Mag/arcsec2. কালপুরুষ নীহারিকাটি বহন করে খোলা গুচ্ছ, যা অসমাস্তরাল বাহুবিশিষ্ট চতুর্ভুজ হিসেবে পরিচিত,যার কারণ তারকাগুচ্ছএর চারটি প্রধান তারা. এর মধ্যে দুটি সহজে সমাধান করা যায় রাতের আকাশে বাইনারি সিস্টেমের মাধ্যমে, যা সর্বমোট ৬ টি তারা.অসমাস্তরাল বাহুবিশিষ্ট চতুর্ভুজের তারা গুলো এখনো প্রাথিমক বছরে আছে। অসমাস্তরাল বাহুবিশিষ্ট চতুর্ভুজ এর উপাদান সম্ভবত অনেক বেশি কালপুরুষ নীহারিকা ক্লাস্টার যা সংযুক্ত বা একত্রিত হয়েছে প্রায় ২,০০০ তারা নিয়ে এবং ২০ আলোক বর্ষ জুড়ে।. সম্ভবত ২০০ মিলিয়ন বছর আগে এই কালপুরুষ নীহারিকা ক্লাস্টার ধাবিত তারা এর ঘর ছিল। যা বর্তমানে কালপুরুষ নীহারিকাটি থেকে দূরে সরে যাচ্ছে এর কারণ দ্রুতবেগ যা ১০০এনবিএসপি;কি.মি/সে থেকেও বেশি ।

রঙকরণ

পর্যবেক্ষকরা এই নীহারিকার দীর্ঘ একটি স্বতন্ত্র সবুজাভ ছোপ উল্লেখ করেছেন ,এছাড়াও এর অন্চল লাল এবং নীল বেগুনি।. এই লাল বর্ণের কারণ Hα একটি তরঙ্গদৈর্ঘ্য যা পুনর্গঠন লাইন ৬৫৬,৩ এ বিকিরণ NM. নীল-বেগুনি রঙের কারণ বৃহদায়তন হে-বর্গ থেকে প্রতিফলিত বিকিরণ।
এই সবুজাভ ছোপ বিংশ শতাব্দীর আগে জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের কাছে ধাধার মত ছিল কারণ যে সময়ে পরিচিত ভুতুড়ে লাইন গুলি কেউ ব্যাখ্যা করতে পারে নি। এই লাইন একটি নতুন উপাদান দ্বারা সৃষ্ট ছিল, এর নাম নেভুলিয়াম, এটি একপ্রকার রহস্যময় উপাদান সৃষ্টি করে যা নিয়ে কিছুটা রহস্য ছিল। পারমাণবিক পদার্থবিদ্যায় ভাল বুঝা,যাইহোক এটা পরে নির্ধারিত হয়েছিল যে সুভজাভ ছোপ এর কারণ হালকা প্রবাহমান বিদ্যুত্-পরমাণু এর চলন এবং ডাবল আয়ন অক্সিজেন। একটি তথাকথিত "নিষিদ্ধ রূপান্তর"এটা গভীর স্থান পাওয়া নিস্তব্ধ এবং প্রায় সংঘর্ষের মুক্ত পরিবেশের উপর নির্ভরশীল, কারণ এই বিকিরণ পরীক্ষাগার নকল করা অসম্ভব ছিল

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই জুন, ২০১৮ বিকাল ৫:৫২
১টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

নারীনীতি ইস্যুতে তথাকথিত চুশীলদের নিয়ে কিছু কথা

লিখেছেন নতুন নকিব, ০৪ ঠা মে, ২০২৫ সকাল ৮:৫৩

নারীনীতি ইস্যুতে তথাকথিত চুশীলদের নিয়ে কিছু কথা



ইদানিং নারীনীতি নিয়ে দেশে নানা তর্ক-বিতর্ক চলছে। আলেম-ওলামা এবং ইসলামপন্থীরা যখন পাশ্চাত্যঘেঁষা নারীনীতির সুপারিশকে দ্ব্যর্থহীনভাবে প্রত্যাখ্যান করলেন, তখনই মূলত এই আলোচনার বিস্তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

ব্লগারদের হতে হবে দেশের চিন্তাশীল সমাজের অগ্রনায়ক

লিখেছেন সত্যপথিক শাইয়্যান, ০৪ ঠা মে, ২০২৫ দুপুর ১২:৪৬

আমার ৭ বছর ১১ মাসের ব্লগিং ক্যারিয়ারে ১০,০৭৩টি কমেন্ট করেছি। প্রতি পোস্টে গড়ে যদি ২টা করে কমেন্ট করে থাকি, তাহলে, আমি কম করেও ৫০০০টি পোস্ট পড়েছি। এর অর্থ, বছরে প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের শাহেদ জামাল- ৭৮

লিখেছেন রাজীব নুর, ০৪ ঠা মে, ২০২৫ দুপুর ২:৩৭



আমার বন্ধু শাহেদ। শাহেদ জামাল।
খুবই ভালো একটা ছেলে। সামাজিক এবং মানবিক। হৃদয়বান তো অবশ্যই। দুঃখের বিষয় শাহেদের সাথে আমার দেখা হয় মাসে একবার। অথচ আমরা একই শহরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঢাকার অটোরিকশা

লিখেছেন শামীম মোহাম্মাদ মাসুদ, ০৪ ঠা মে, ২০২৫ বিকাল ৩:৩৪

সেদিন একটা রিপোর্টে দেখলাম ঢাকা শহরে প্রায় ২০ লাখ রিক্সা রয়েছে। এর মধ্যে ব্যাটারিচালিত রিক্সার সংখ্যা প্রায় ৬ লাখ! ২০১৯ সালের একটা জরিপে রিক্সার সংখ্যা ছিলো ১৩ লাখ। তার মানে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সৃষ্টির ঋণ....

লিখেছেন জুল ভার্ন, ০৪ ঠা মে, ২০২৫ রাত ৮:২৭

সৃষ্টির ঋণ....

মধ্য দুপুরে ডেল্টা হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে সিএনজি, বাইক, উবার কিছুই পাচ্ছিনা। অনেকটা পথ হেটে বাংলা কলেজের সামনে বেশকিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকে একটা রিকশা পেয়েছি....ঘর্মাক্ত ষাটোর্ধ কংকালসার রিকশাওয়ালাকে দেখে এড়িয়ে যাওয়ার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×