ছ.
বহুদিন পর বহু প্রতীক্ষার পর
ঘুম ভেঙে দেখি গরাদ গলে
ছুটে এসেছে একরাশ হাওয়া
ঘুম ঘুম চোখে আলেয়ার বুক
ছুঁয়ে থাকা হৃদয়ের অ আ বর্ণ
একটি কবিতা, তোমার নাম।
চ.
প্রতিদিন একটা কথা বলবো বলে ভাবি
টান পড়ে যায় লাগামে
স্থির হয়ে যাই, যেমন থেমে যায় গাড়ী
ডুবে যাই ঘোর অন্ধকারে।
তোমার স্বপ্নে বিভোর রাত্রি জাগরণ
সূর্যোদয়েও তুমি থেকে যাও
পাশ ফিরলেই তপ্ত দুপুর
এদিক ওদিক কোনদিকে তুমি নেই!
ঙ.
ঘন কুয়াশায় বিহঙ্গ চিত্তের মন লালসায়
ল্যাপ কম্বলের নিচে জড়সরোভাবে গুটিয়ে তোমাতে
তোমার স্তনের ভাঁজে নিজেকে সপে দিই
তোমার জঠরে উৎপাদিত শব্দে প্রিয় আদিমের আগুন
মৈথুন রাতে একান্ত নিজস্বতায়।
তোমার কোমল কায় বিন্যাসে অথবা
মেঘের ঘনঘটা তোমার কুন্তলে
কাঁপা কাঁপা ঠোঁটে তোমার ঘ্রাণের লোভে
মত্ত আমি ডুবে যাই তোমার অঙ্গার খনিতে।
কোথায় বেশি আগুন, কোথায় বেশি উত্তাপ?
তোমার উরু সন্ধি না তোমার গোপন অঙ্গের ছলাকলায়
না আমার ভিরু মনের খুব গোপন কুঠুরীতে
তোমার নামে জপে যে আগ্নেয় শিলা সেখানে?
অসভ্যরা যে আগুন ধরিয়েছিলো পাথরে পাথর ঘষে
তার চেয়ে কম না বেশি আমার মনের টেরিকটায়
যে আগুনের সূত্রপাত তোমার কোমলের দেখা পেয়ে!
ঘ.
ঘুমের কোল ঘেঁষে আসে তোমার স্বপ্নাতুর ছায়া।
কায়াহীন তুমি, তোমার কোল ঘেঁষে নেমে আসে
মেঘবতী রাত, আমার তন্দ্রালু চোখে তোমার
অভিশারের গোপন নাম, এর চক্করে তোমার
চারিধারে আমি ঘুমহীন অনুভবে তোমার রেখাপাত!
গ.
প্রেমিকার নাম নিকোটিন
রক্তের অনুতে যার বিচরণ
খ.
প্রাক্তন প্রেমিকারা সব ঘুমিয়ে পড়েছে
ঘুমিয়ে পড়েছে বর্তমানরা
তবুও পিছু ডাকে পুরনো কথা
প্রাক্তন সুর তবে বাজে হৃদয় ঘাটে
বর্তমান বর্তমান করে তবুও যাই কারো ঘরে
তবুও ছাড়ে না পুরাতন, তবুও
পড়ে থাকি পুরনো ঘরে!
ক.
ঘুমের জানালা খুলে রাতপাখার মৃদু তরলে
মুদে আসে দু'চোখ আমার।
গোলাপী সকাল হাতছানি দ্যায় রাতভর
নিকোটিনের আলোড়ন তাই লোহিত কণাতে।
সুখ সুখ ঘুমমাখানো রোদ্দুর
আশ্বিনীমেঘের করতলে বাতাবী ঘ্রাণের চাঁদ
জ্যোৎস্নার ফোয়ারায় স্নান এবং জলকেলি
আঁধারের আলোখেলায়...
ঘুম ঘুম চোখে তাই স্বপ্ন বুনে যাই
সময়ের পদচিহ্নে, আমাদের বিরহ সংগমে!
সবাইকে ঈদের আগাম শুভেচ্ছা