একজন গুরুদাসী মন্ডল:
১৯ শে মার্চ, ২০০৬ রাত ১১:৪৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে নারীদের অবদান আমরা খুব গভীরভাবে অনুভব করি না। অপরাজেয় বাংলার স্থাপত্যে প্রত্যয়ী নারী সহযোদ্ধা হিসেবে দাঁড়িয়ে আছে। কিন্তু স্বাধীনতা যুদ্ধে তাদের ত্যাগ মহিমান্বিত হলেও সে সম্পর্কে আমাদের সচেতনতা অতি সীমিত। বছর কয়েক আগে আমার সুযোগ হয়েছিল ইয়াসমিন কবীরের "স্বাধীনতা" শীর্ষক প্রামাণ্য শর্ট ফিল্মটি দেখার। ঢাকার পাবলিক লাইব্রেরীতে আন্তর্জাতিক চলচিএ উৎসবে প্রদর্শিত 37 মিনিটের ছবিটি গুরুদাসী মন্ডলকে নিয়ে রচিত। তিনি রাজাকারদের হাতে নির্যাতিত হন । বন্দী ছিলেন রাজাকারদের ক্যাম্পে প্রায় তিন মাস। মুক্তিযোদ্ধারা উদ্ধার করেন এই গুরুদাসীকে। তারপর থেকেই সব হারানোর বেদনায় তিনি সকল স্বাভাবিকত্ব হারিয়েছেন। যে দেশে অস্বাভাবিকতাই হচ্ছে আদর্শ আর ইতিহাস বিকৃতি হচ্ছে মূলধারা, সেখানে গুরুদাসীর স্বাভাবিকতার মূল্য আর কতটুকু?
স্বাধীনতা যুদ্ধে নিজের পরিবার ও স্বজনদের হারিয়ে তিনি তার চারপাশকে আপন করে নেন। ছবিতে দেখা যায় প্রতিবেশীর দরিদ্রসন্তানকে তিনি অতি স্নেহে বড়ো করছেন। খুলনা শহরের কপিলমনি এলাকায় নি:স্ব এই বীরাঙ্গনা পথে পথে পাগলের মতো ঘুরে বেড়ান। সামনে যার কাছ থেকে যা পান ছিনিয়ে নেন, কারণ সবকিছুর উপরই তার অনেক দাবী। বেত দিয়ে পথচারীকে আঘাত করার ভয় দেখান। হয়তো তার এই অস্বাভাবিকতা হচ্ছে চলমান বিকৃতির প্রতি ঘৃণা ও ব্যঙ্গ। তার এলাকায় অসম্ভব জনপ্রিয় এই গুরদাসী। তিনি উপকথার নায়িকার মতো সবার একান্ত আপন। সব হারিয়েছেন যে দেশের জন্য, সেই দেশ গুরুদাসীকে কিছুই দিতে পারেনি। অবশ্য যেসব রাজাকার নির্যাতন করেছিল তারা আজ আছে বহাল তবিয়তে। ইতিহাসের নিষ্ঠুর প্রহসন। এখনও সেই জামাতী রাজাকাররা প্রতারিত করে চলছে দেশের মানুষকে ধর্মের মুখোশ পড়ে। গুরুদাসী আমাদের বিবেকের লজ্জা ও গ্লানি। এই লজ্জা ও গ্লানি থেকে যারা মুক্তি দিবে তারা কি চেনে গুরুদাসীকে?
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে মার্চ, ২০০৬ রাত ১২:৫৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
দুর্নীতির কারণে তার যাওয়ার কথা ছিল জেলে, গেছেন তিনি বঙ্গভবনে প্রধান উপদেষ্টার শপথ নিতে। এটা খোদ মুহাম্মদ ইউনূসের স্বীকারোক্তি ছিল। তার দেশশাসনের আট মাসে বিদেশে যখন গেছেন তিনি, তখন স্বীকার... ...বাকিটুকু পড়ুন

রোজার ঈদে মাকে খুঁজতে যাব
পাঁচ হাজার টাকা রেখে দিয়েছি-
সিঁলিকের শাড়ি কিনবে বলে;
বাবা আর বিড়ি খাওয়া দায়ে
আমাকে নাক সেছুর দিবে না
কোন কোরবানী ঈদে-কোন
পথে যাবো- কোন ঈদ আসবে!
আর অপেক্ষা করতে...
...বাকিটুকু পড়ুন
কোন সে উন্নয়নের পথে হাঁটছি বলো
এই গিঞ্জি শহর কি বাসের অযোগ্য নয়?
শূন্যে ভাসমান রাস্তা-নিচে রাজপথ
তবু কি থেমে আছে যানজট কিংবা দুর্ঘটনা?
দৌঁড়ের জীবন-
টেক্কা দিতে গিয়ে ওরা কেড়ে নেয় রোজ...
...বাকিটুকু পড়ুন
এই শহর আমার নয়
ধুলিমলিন, পোড়া ধোঁয়ায় ঘেরা
ধূসর এক স্বপ্নহীন চেহারা।
এই শহর, আমার নয়।
ঘোলাটে চোখে জমে হাহাকার,
চেনা মুখেও অচেনার ছাপ।
পথে পথে স্বপ্নরা পোড়ে,
আলোর ছায়ায় খেলে আঁধার।
এই শহর...
...বাকিটুকু পড়ুন
এটা একটি টিউবওয়েল।
২০০৯ সালে, যখন আমি নানী বাড়ি থেকে লেখাপড়া করতাম, তখন প্রতিদিন এই টিউবওয়েল দিয়েই গোসল করতাম। স্কুল শেষে ক্লান্ত, ঘামাক্ত শরীর নিয়ে যখন ঠান্ডা পানির ঝাপটায় নিজেকে স্নান...
...বাকিটুকু পড়ুন