জামাতে ইসলামী, বিএনপি আর ঐক্যজোটের তিন কর্মী মদ্যপান করা অবস্থায় সৌদী আরবে ধরা পড়ে। সৌদী আরবে যেহেতু মদ্যপানের অপরাধ অত্যন্ত গুরুতর, তাই সেখানে এর শাস্তি হচ্ছে চাবুকের বিশ দোররা বাড়ি। আরবের শেখ যখন এই তিন কমর্ীকে শাস্তির জন্য ব্যবস্থা নিচ্ছিলেন, তখন তিনি বললেন, "আজ আমার প্রথম বউয়ের জন্মদিন, তাই আমি তোমাদের প্রত্যেককে চাবুক মারার আগে একটা করে ইচ্ছা জানাবার অনুমতি দিলাম এবং তোমাদের আর্জি মঞ্জুর করা হবে"।
লাইনের প্রথমে দাঁড়ানো ঐক্যজোটের কমর্ী বলল, "শেখ তুমি যদি চাবুক মারার আগে পিঠের সাথে একটা বালিশ বেঁধে দিতে"। তার আর্জি মোতাবেক বালিশ বেঁেধ চাবুক মারা শুরু হলো। বালিশ চাবুকের বাড়ি 10 টা পর্যন্ত নিল, তারপর বালিশ গেল ফেটে। ব্যথায় কুঁচকে রক্তাত্ব অবস্থায় তাকে সরানো হলো বিশ দোররার পরে।
এর পরে লাইনে ছিল বিএনপি'র কর্মী। সে ঐক্যজোটের কমর্ীর বেহাল অবস্থা দেখে আর্জি জানাল দু'টা বালিশ বাঁধার। তার আর্জি মোতাবেক 2টা বালিশ বেঁেধ চাবুক মারা শুরু হলো। বালিশ চাবুকের বাড়ি 15 টা পর্যন্ত নিতে পারল, তার পর ব্যথায় কুঁচকে গোঙ্গানো অবস্থায় বিএনপি'র কর্মীকে সরানো হলো বিশ দোররার পরে।
সবার শেষে লাইনে ছিল জামাত কমর্ী। সে কোন কিছু বলার আগেই শেখ জামাত কর্মীকে বলল, "তুমি হচ্ছো গোলাম আযমের দলের লোক। তাই তুমি 2টা আর্জি রাখতে পার"। জামাতী কমর্ী খুশীতে গদগদ হয়ে বলল, "হুযুর, আমি নাদানের মতো কাজ করেছি, তাই তুমি আমাকে চাবুকের 20 দোররা না, 100 দোররা মার। শেখের চোখ আনন্দে জ্বলজল করে উঠল। বলল, "তার পরের আর্জিটা"? জামাত কমর্ী ব্যথায় কুঁকড়ানো বিএনপি কমর্ীর দিকে আঙ্গুলের ইশারা দিয়ে বলল, "বালিশ টালিশ না, তুমি ঐ ব্যাটারে আমার (বিএনপি'র কমর্ী) পিঠের সাথে বাইন্ধা দাও"।
সৌজন্যে: http://salamdhaka.blogspot.com/
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে ডিসেম্বর, ১৯৬৯ সন্ধ্যা ৭:০০