কি করে বিদ্রুপকারি, গালিগালাজ কারির মুখ বন্ধ করতে হয় তার জন্য সবচেয়ে প্রমানিত সহজ কৌশল কি তা নিয়ে আলোচনা । যে বিদ্রুপ করে বা নাড়তে চায় তাদের প্রধান আনন্দ যখন অপর পক্ষ রেগে যায়।এটা এক ধরনের সাইকোলজিকাল গেম। যখন কোন গ্রুপ অন্য গ্রুপকে নাড়া দিতে চায় তখন নাড়া কারিকে হত্যা করলেও নাড়া নাড়ি বন্ধ হবে না কারন অপর পক্ষ ক্রুদ্ধ প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছে তাই। যখন নাড়া দেওয়া পক্ষ নিজের সমস্ত পরিচয় গোপন করে গালিগালাজ শুরু করবে তখন খুন করার ও কোন উপায় থাকবে না এবং এক তরফা হজম করতে হবে।
সুরা মোজাম্মেল আয়াত ১০ এবং সুরা নিসার আয়াত ১৪০ যে উপদেশ দেওয়া হয়েছে সেটাই বিদ্রুপকারির মুখ বন্ধ করার প্রমানিত কৌশল। খৃষ্টানরা সে কৌশল ব্যবহার করে সফল হয়েছে। এই কৌশলটা হোল কোন ভাবে ফিডব্যাক বা ক্রদ্ধ প্রতিক্রিয়া দেখানো যাবে না এবং বিষয়টাকে সম্পুর্ন ওভারলুক বা ইগনোর করতে হবে বা কোন ভাবে পাত্তা দেওয়া যাবে না ।এই সমস্ত না করে যদি প্রতিক্রিয়া দেখানো হয় তাহোলেই সর্বনাশ তাহোলে বিদ্রুপ চলতেই থাকবে। একজন ব্লগারের ব্লগ কয়জন পড়ে এখন যদি ঐ লেখাকে ইগনোর করা হোত তাহোলে ৯৯.৯৯৯৯৯৯ % মানুষ ঐ লেখার কিছুই জানতো না আর যিনি লিখছেন তিনি যখন দেখলেন কোন ফিডব্যাক নাই তখন আপনা আপনি নাড়ার উৎসাহ হারিয়ে ফেলতো।খৃষ্টানদের কোরানের ওভারলুক করার উপদেশ অনুসরন করে সফল হওয়ার উদাহরন আছে।আমেরিকার এক শহরে এক প্রদর্শনিতে কে বা কারা মানুষের মূত্র ভরা একটা বোতলে যিশু খৃষ্টের একটা মূর্তি প্রদর্শন করে-- যে ঘটনাটা একটা এটম বোম হতে পারতো, কোন খৃষ্টান এটাকে স্বহ্য করতে পারতো না , খুনা খুনি আগুন দেওয়া হাঙ্গামা সহ অনেক কিছুই হতে পারতো কিন্তু কর্তিপক্ষ নিজেদের বিবেচনা বলে যা কোরলো তা স্পস্ঠ ভাবে কোরানে বলা আছে। তারা এবং সমস্ত সংবাদ মাধ্যম ঘটনাটা বেমালুম চেপে গেল কেউ কিছু জানতে পারলনা এবং ঘটনাটার মৃর্তু ঐখানেই হয়ে গেল। যে দল যে উদ্দেশ্য নিয়ে ( সম্ভবত খৃষ্টান নাস্তিকরা ) এই খৃষ্টানদের ক্ষেপাতে চেয়েছিল তাদের পরিকল্পনা অঙ্কুরে বিনিষ্ঠ হয়ে গেল কারন ঘটনাটাকে সম্পুর্ন চেপে যাওয়ার জন্য কোন খৃষ্টান তা জানতে পারলো না তাই তাদেরকে ক্ষেপানোর পরিকল্পনা ব্যর্থ হয়ে গেল এবং নাস্তিক খৃষ্টানের দল ও উৎসাহ হারিয়ে ফেললো। এখন দেখুন ঐ ধরনের এড়িয়ে যাওয়ার উপদেশ কোরানে আছে কিনা ----
সুরা মোজ্জামেল ( ৭৩--১0 ) কাফেররা যা বলে, তজ্জন্যে আপনি সবর করুন এবং সুন্দরভাবে তাদেরকে পরিহার করে চলুন।
সুরা নিসা আয়াত ১৪0- আর কোরআনের মাধ্যমে তোমাদের প্রতি এই হুকুম জারি করে দিয়েছেন যে, যখন আল্লাহ তা’ আলার আয়াতসমূহের প্রতি অস্বীকৃতি জ্ঞাপন ও বিদ্রুপ হতে শুনবে, তখন তোমরা তাদের সাথে বসবে না, যতক্ষণ না তারা প্রসঙ্গান্তরে চলে যায়। তা না হলে তোমরাও তাদেরই মত হয়ে যাবে। আল্লাহ দোযখের মাঝে মুনাফেক ও কাফেরদেরকে একই জায়গায় সমবেত করবেন।
সুরা আহযাব (৩৩-৫৭) যারা আল্লাহ ও তাঁর রসূলকে কষ্ট দেয়, আল্লাহ তাদের প্রতি ইহকালে ও পরকালে অভিসম্পাত করেন এবং তাদের জন্যে প্রস্তুত রেখেছেন অবমাননাকর শাস্তি। --- এই আয়াতে শাস্তি দানকারি স্বং আল্লাহ তালা কোন মানুষ নহে ।
বিদ্রুপকারীদের জন্য আমিই আপনার পক্ষ থেকে যথেষ্ট" (সুরা আল হিজর:৯৫)
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ৭:৪১