somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ইসলাম বিদ্রুপকারির মুখ বন্ধ করার কৌশল ও কোরানের উপদেশ !!

০৫ ই এপ্রিল, ২০১৫ ভোর ৬:৪৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

কি করে বিদ্রুপকারি, গালিগালাজ কারির মুখ বন্ধ করতে হয় তার জন্য সবচেয়ে প্রমানিত সহজ কৌশল কি তা নিয়ে আলোচনা । যে বিদ্রুপ করে বা নাড়তে চায় তাদের প্রধান আনন্দ যখন অপর পক্ষ রেগে যায়।এটা এক ধরনের সাইকোলজিকাল গেম। যখন কোন গ্রুপ অন্য গ্রুপকে নাড়া দিতে চায় তখন নাড়া কারিকে হত্যা করলেও নাড়া নাড়ি বন্ধ হবে না কারন অপর পক্ষ ক্রুদ্ধ প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছে তাই। যখন নাড়া দেওয়া পক্ষ নিজের সমস্ত পরিচয় গোপন করে গালিগালাজ শুরু করবে তখন খুন করার ও কোন উপায় থাকবে না এবং এক তরফা হজম করতে হবে।
সুরা মোজাম্মেল আয়াত ১০ এবং সুরা নিসার আয়াত ১৪০ যে উপদেশ দেওয়া হয়েছে সেটাই বিদ্রুপকারির মুখ বন্ধ করার প্রমানিত কৌশল। খৃষ্টানরা সে কৌশল ব্যবহার করে সফল হয়েছে। এই কৌশলটা হোল কোন ভাবে ফিডব্যাক বা ক্রদ্ধ প্রতিক্রিয়া দেখানো যাবে না এবং বিষয়টাকে সম্পুর্ন ওভারলুক বা ইগনোর করতে হবে বা কোন ভাবে পাত্তা দেওয়া যাবে না ।এই সমস্ত না করে যদি প্রতিক্রিয়া দেখানো হয় তাহোলেই সর্বনাশ তাহোলে বিদ্রুপ চলতেই থাকবে। একজন ব্লগারের ব্লগ কয়জন পড়ে এখন যদি ঐ লেখাকে ইগনোর করা হোত তাহোলে ৯৯.৯৯৯৯৯৯ % মানুষ ঐ লেখার কিছুই জানতো না আর যিনি লিখছেন তিনি যখন দেখলেন কোন ফিডব্যাক নাই তখন আপনা আপনি নাড়ার উৎসাহ হারিয়ে ফেলতো।খৃষ্টানদের কোরানের ওভারলুক করার উপদেশ অনুসরন করে সফল হওয়ার উদাহরন আছে।আমেরিকার এক শহরে এক প্রদর্শনিতে কে বা কারা মানুষের মূত্র ভরা একটা বোতলে যিশু খৃষ্টের একটা মূর্তি প্রদর্শন করে-- যে ঘটনাটা একটা এটম বোম হতে পারতো, কোন খৃষ্টান এটাকে স্বহ্য করতে পারতো না , খুনা খুনি আগুন দেওয়া হাঙ্গামা সহ অনেক কিছুই হতে পারতো কিন্তু কর্তিপক্ষ নিজেদের বিবেচনা বলে যা কোরলো তা স্পস্ঠ ভাবে কোরানে বলা আছে। তারা এবং সমস্ত সংবাদ মাধ্যম ঘটনাটা বেমালুম চেপে গেল কেউ কিছু জানতে পারলনা এবং ঘটনাটার মৃর্তু ঐখানেই হয়ে গেল। যে দল যে উদ্দেশ্য নিয়ে ( সম্ভবত খৃষ্টান নাস্তিকরা ) এই খৃষ্টানদের ক্ষেপাতে চেয়েছিল তাদের পরিকল্পনা অঙ্কুরে বিনিষ্ঠ হয়ে গেল কারন ঘটনাটাকে সম্পুর্ন চেপে যাওয়ার জন্য কোন খৃষ্টান তা জানতে পারলো না তাই তাদেরকে ক্ষেপানোর পরিকল্পনা ব্যর্থ হয়ে গেল এবং নাস্তিক খৃষ্টানের দল ও উৎসাহ হারিয়ে ফেললো। এখন দেখুন ঐ ধরনের এড়িয়ে যাওয়ার উপদেশ কোরানে আছে কিনা ----

সুরা মোজ্জামেল ( ৭৩--১0 ) কাফেররা যা বলে, তজ্জন্যে আপনি সবর করুন এবং সুন্দরভাবে তাদেরকে পরিহার করে চলুন।

সুরা নিসা আয়াত ১৪0- আর কোরআনের মাধ্যমে তোমাদের প্রতি এই হুকুম জারি করে দিয়েছেন যে, যখন আল্লাহ তা’ আলার আয়াতসমূহের প্রতি অস্বীকৃতি জ্ঞাপন ও বিদ্রুপ হতে শুনবে, তখন তোমরা তাদের সাথে বসবে না, যতক্ষণ না তারা প্রসঙ্গান্তরে চলে যায়। তা না হলে তোমরাও তাদেরই মত হয়ে যাবে। আল্লাহ দোযখের মাঝে মুনাফেক ও কাফেরদেরকে একই জায়গায় সমবেত করবেন।

সুরা আহযাব (৩৩-৫৭) যারা আল্লাহ ও তাঁর রসূলকে কষ্ট দেয়, আল্লাহ তাদের প্রতি ইহকালে ও পরকালে অভিসম্পাত করেন এবং তাদের জন্যে প্রস্তুত রেখেছেন অবমাননাকর শাস্তি। --- এই আয়াতে শাস্তি দানকারি স্বং আল্লাহ তালা কোন মানুষ নহে ।

বিদ্রুপকারীদের জন্য আমিই আপনার পক্ষ থেকে যথেষ্ট" (সুরা আল হিজর:৯৫)
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ৭:৪১
৪৭৫ বার পঠিত
৫টি মন্তব্য ৫টি উত্তর

১. ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ৯:১৮

কাউন্টার নিশাচর বলেছেন: খুব ভালো বলেছেন। প্রিয় তালিকায় নিলাম।

০৫ ই এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ১০:২০

লেখক বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে !!

২. ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ৯:৪৭

মাঘের নীল আকাশ বলেছেন: সহমত!

০৫ ই এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ১০:২০

লেখক বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে !!

৩. ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ৯:৪৭

সুফিয়া বলেছেন: উপকারী পোস্ট। ভাল লাগল। শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।

০৫ ই এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ১০:২০

লেখক বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে !!

৪. ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ৯:৪৮

আমারনামবিডি বলেছেন: ভালো লেগেছে।

০৫ ই এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ১০:২১

লেখক বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে !!

৫. ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ১২:৩৭

বার্ডস আই ভিউ বলেছেন: লেখককে কয়েকটি বিষয় বলতে চাই তাহলো-
১)আপনার মতে "ইসলাম বিদ্রুপকারির মুখ বন্ধ করার কৌশলটা হোল কোন ভাবে ফিডব্যাক বা ক্রদ্ধ প্রতিক্রিয়া দেখানো যাবে না এবং বিষয়টাকে সম্পুর্ন ওভারলুক বা ইগনোর করতে হবে বা কোন ভাবে পাত্তা দেওয়া যাবে না।" আসলেই কি তাই ? বিগত বছর গুলোতে কি কখনো বন্ধ হয়েছে ? তা ছাড়া অনলাইনে পাঠক সংখ্যা একদম কম নয়। বিভিন্ন আদর্শের লোক এখানে রয়েছে তাই বারবার কারো শ্রদ্ধার বস্তুকে অপমান করে কথা বলা নিশ্চয় বারবার হজম করা যায় না। এ সকল বিষয়ে সর্বত্তোম কৌশলটা হবে রাষ্ট্রের কর্তাদের কাছে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে তৎক্ষনিক উদ্যোগ নেয়ার জন্য আবেদন জানানো।
২)আপনি যে আয়াত উল্লেখ করেছেন দেখুন সেখানে কাফেরদের কথা উল্লেখ আছে-"কাফেররা যা বলে, তজ্জন্যে আপনি সবর করুন এবং সুন্দরভাবে তাদেরকে পরিহার করে চলুন।" মুসলিমদের মধ্য থেকে কেউ এমন করলে তার জন্য অবশ্যই শাস্তির বিধান রয়েছে কিন্তু তা কখনোই ব্যক্তি বিচার করতে পারবে না, অবশ্যই রাষ্ট্রীয়ভাবে ব্যবস্থা নিবে।
৩)যেহেতু বাংলাদেশ ইসলামী রাষ্ট্র নয় তাই তারা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষার জন্য কঠোর বিধান করতে পারে এতে দাঙ্গা-হাঙ্গামা বন্ধ হবে।
তাই আমার মনে হয় ইগনোর করাটাই সমাধান নয়।

০৫ ই এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ১:২৯

লেখক বলেছেন: বাংলাদেশ সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৩৯(২) অনুযায়ী প্রত্যেক নাগরিকের চিন্তা, মত ও ভাবপ্রকাশের স্বাধীনতা রয়েছে। তবে দণ্ডবিধির ২৯৫ক এবং ২৯৮ অনুযায়ী অন্যের ধর্মানুভূতিতে আঘাত হানা একটি দণ্ডনীয় অপরাধ। সেক্ষেত্রে দু’বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড, জরিমানা অথবা উভয়ই হতে পারে-- তাহোলে যে অবমাননা করেছে তাকে এই ভাবে শাস্তি দেওয়া যায় নিজের হাতে আইন না তুলে নয়।
এই আইনের প্রয়োগ করতে হলে অপরাধিকে এই আইনের আওতায় মামলা করতে হবে। এই আইন সব চেয়ে বিপদ জনক হবে মোল্লা শ্রেণীর জন্য কারন অন্য ধর্মাবলম্বিরা মামলা করলে মৌলবাদীরা ফেসে যাবে। আমি মুসলমান হিসেবে জানি মুসলমাদের মত অন্য ধর্মকে গালিগালাজ অন্য কেউ করে না ।মুসলমাদের স্পিরিচুয়াল প্রাকটিসের মধ্যে অন্য ধর্মের সমালোচনা বা কুৎসা বা গালাগালি ঢুকে গেছে । মসজিদে খোদবায় ইহুদি নাসা হিন্দু এদের গালাগালি করাটা ডাল ভাতের মত হয়ে গেছে । হিন্দু দেব দেবীদের উদ্দেশ্যে কটু মন্তব্য যেন ডাল ভাত। দেখুন তারা কিন্তু সম্পুর্ন ঐ গালিগালাজকে ইগনোর করছে , তাই বিপদ মোল্লাদেরই বেশি যদি তারা মামলা করে বসে। যদি প্রথম থেকে ইগনোর করা হোত তাহলে গালিগালাজের দল বহু আগেই উৎসাহ হারিয়ে ফেলতো যখন তারা দেখতো অপর পক্ষ রাগ করছে না বা প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছে না। ক্রদ্ধ প্রতিক্রিয়া দেখানোর ফলে তারা মহা উৎসাহে খোচা চালিয়ে যাচ্ছে। দেখুন সাধারন মানুষ তো ক্ষেপবেই সে খৃষ্টান হোক বা মুসলমান হোক কিন্তু নেত্রীবৃন্ধ যদি চরম পন্থি হয় তাহোলে বিপদ আছে ।খৃষ্টান লিডারশিপ যেমন বোতলের ভিতর পেসাবের ভিতর যিশুর মুর্তির ঘটনা চেপে গিয়ে সাধারন খৃষ্টানদের কে জানতে দিল না বা ক্ষেপার সুযোগ দিল না ঠিক সেই ভাবে কি মুসলিম লিডারশিপ ব্যপারটা হ্যান্ডেল করতো ? রসুল (সা) নিয়ে একটা কুৎসিত মুভি কে বা কারা বৎসর খানেক আগে ছেড়ে ছিল কেউ তা জানত না কয়েক বৎসর এবং ওটাকে ঐ ভাবে রেখে দিলে কোন মুসলমানের কাছে ঐ মুভির খবর যেত না এবং মুসলমানদের ক্ষেপানোর জন্য যারা এটা বানিয়ে ছিল তারা উৎসাহ হারিয়ে ফেলতো। দেখুন মৌলবাদি মুসলিম লিডারশিপ কি ভাবে ইগনোর পন্থায় না গিয়ে যে উদ্দেশ্য মুভিটা বানানো হয়েছিল তাদের লক্ষকে পুরন করলো। সুতরাং তারা ভবিষৎ আরো জঘন্য কাজ করবে এবং মুসলমানরা সেটা ওদের হয়ে প্রচার করে তাদের উদ্দেশ্য সফল করবে।দেখুন একই ধরনের ঘটনা খৃষ্টান লিডারশিপ কি ভাবে হ্যান্ডেল করলো। সাপ ও মরলো লাঠি ও ভাঙ্গলো না ।

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ইহুদীরা ধন্যবাদ বলছেে মানুষকে, ফিলিস্তিনীরা ধন্যবাদ বলছেে আল্লাহকে

লিখেছেন জেনারেশন৭১, ২৬ শে জানুয়ারি, ২০২৫ ভোর ৬:১০



উপরের ছবিটা আপনারা ইতিমধ্যে দেখেছেন: ৪ঈহুদী নারী বন্দীকে ইসরায়েলের কাছে হস্তান্তর করার আগে, বন্দীদের সাথে হামাসের সদস্যরা ফটো তুলেছে; মেয়েগুলোকে অনেক খুশী দেখাচ্ছে; ৪৭৭ দিন পর তারা... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইসলামে নারীর মর্যাদা (পর্ব -১)

লিখেছেন আরোগ্য, ২৬ শে জানুয়ারি, ২০২৫ সকাল ৮:০০

পর্দাঃ




ইসলামের অন্যতম বহুল বিতর্কিত বিষয় হচ্ছে নারীর পর্দা, যদিও নারী পুরুষ উভয়ের জন্য পর্দা করা ফরজ তবুও নারীর পর্দা নিয়ে তথাকথিত সুশীল সমাজে সমালোচনার ঝড় উঠে এবং পর্দা... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুমিনের হাতিয়ার: দুআ, ইস্তিগফার ও ইনাবাত ইলাল্লাহ

লিখেছেন নতুন নকিব, ২৬ শে জানুয়ারি, ২০২৫ সকাল ৮:৪৩

মুমিনের হাতিয়ার: দুআ, ইস্তিগফার ও ইনাবাত ইলাল্লাহ

ছবিঃ অন্তর্জাল থেকে সংগৃহিত।

মানুষ আল্লাহ তাআলার কাছে সবচেয়ে সম্মানিত তখনই হয়, যখন সে তার প্রভুর সঙ্গে গভীরভাবে সংযুক্ত হয়। এই সংযুক্তির... ...বাকিটুকু পড়ুন

চিরতার রস: আপা পালাইছে, আমি পালাই নাই?

লিখেছেন আখেনাটেন, ২৬ শে জানুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ১২:৪৯


বেশ কিছুদিন ধরে--মনে হচ্ছিল যেন মমি হয়ে গিয়েছিলাম, কেমন যেন ঝিম ধরেছিল সর্বাঙ্গে। মনে হচ্ছিল যেন অষ্টমী ঠাকুরের বিসর্জনের পর গঙ্গায় ডুব দেওয়া বাঁশের মতো ঠাঁই বসে আছি।... ...বাকিটুকু পড়ুন

গাজা ম্যাসাকার ও পরে .......। :(

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ২৬ শে জানুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ১:৪২

গাজা ম্যাসাকার ছবিব্লগ।


পুরো ফিলিস্থিনী মাটির সংগে মিশে গেছে। ৯৫ % ঘরবাড়ী হয় মাটিতে মিশে গেছে অথবা বসবাসের অনুপোযোগী হয়েগেছে। এই ধ্বংসাবশেষ পরিস্কার করতেই লেগে যাবে কয়েক বছর। তারপর... ...বাকিটুকু পড়ুন

×