(আড্ডার ইংজেী ভার্সনে প্রকাশ পায় ডিসেম্বর 28, 2005)
বাংলাদেশে ধমর্ীয় মৌলবাদের যে বিসতৃতি হচ্ছে তা দেশের গণমাধ্যমে বেশ স্পস্টভাবে ফুটে উঠছে। এজন্য আলাদা কোন জনমত জরিপের প্রয়োজন নেই। বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো মৌলবাদী জামাতীরা ক্ষমতার স্বাদ পেল বিএনপি'র রাজনৈতিক লোভের কারণে। এখন জামাতীরা ক্ষমতার আশীর্বাদে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে প্রশাসনিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক অঙ্গনে নিজস্ব লোকদের ছলে-বলে বসিয়ে নিচ্ছে। এধরণের ইসলামীকরণ এদেশে কখনো আগে হয়নি। ফলে, সমাজে এক যুগান্তকারী পরিবর্তন ঘটে যাচ্ছে। খবরের পাতা ও জনমতের ধারা বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, দেশের চলমান মেরুকরণের ধারায় দেশের মানুষ আগামী দিনগুলোতে ইসলামী দলের তথাকথিত জাতীয়তাবাদী শক্তি অথবা ধর্মনিরপেক্ষ গণতান্ত্রিক শক্তির যে কেন একটিকে বেছে নিবে। সমপ্রতি অনুষ্ঠিত এক উপনির্বাচনে জামাত সংসদের নিজস্ব পদটি সরকারবিরোধী জনপ্রিয় গণমূখী প্রাথর্ীর কাছে হেরেছে।
বাংলাদেশে মৌলবাদবিরোধী শক্তির অগ্রগতি বিশ্লেষণে রাজনৈতিক মেরুকরণের এই ধারা জনগণের দৃস্টিকোণ থেকে দেখতে হবে। তাই, জামাত যেসব প্রতিষ্ঠান, সংস্থা, ও কর্মকান্ডে তাদের দলীয় লোকদের ঢুকাচ্ছে, তার হিসেব আমাদের রাখতে হবে। তাদের কার্যক্রমের গতিধারা ও প্রাতিষ্ঠানিক প্রভাব বলয়কে সনাক্ত করে রাখতে হবে যাতে তারা রাতারাতি রং পরিবর্তন না করতে পারে। অতীতে দেখা গেছে, জামাতীরা কচ্ছপের মতো মুখ লুকিয়ে পার পেয়ে গেছে। ধমর্ীয় মৌলবাদ প্রতিরোধে তাই এখন রাজনৈতিক বলয়ের বাইরে গণমূখী সামাজিক ও রাজনৈতিক এজেন্ডা তৈরী করার প্রয়োজন যা জামাতসহ সকল মৌলবাদী শক্তির আর্থিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক সংস্থাপনাগুলোর মুখোশ তুলে ফেলবে। আমি আশাবাদী যে সাথী বন্ধুরা এধরনের এজেন্ডা জনগণের কাছে তুলে ধরবেন। 1990 সালে সামরিক জান্তা এরশাদের পতনের কথা ভেবে দেখুন। জনগণ চাইলে সহজে ও শানতিপূর্ণভাবে লোভী রাজনৈতিকদের হাওয়ার প্রাসাদ চুরমার করে দিতে পারে। যুদ্ধাপরাধী জামাতীদেরকে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে এব্যাপারটি রাজনৈতিক বলয়ের বাইরে এনে জনগণের জনপ্রিয় দাবী হিসেবে রূপ দিতে হবে। বাংলাদেশকে মৌলবাদী ও যুদ্ধাপরাধী শক্তির হাত থেকে বাচাঁতে সামাজিক ও রাজনৈতিক এজেন্ডা নিমর্াণে এটা হোক আমাদের শুভযাএা।