(আড্ডার ইংজেী ভার্সনে প্রকাশ পায় ডিসেম্বর 10, 2005)
বাংলাদেশে সন্ত্রাস নিয়ে আলোচনায় যোগ দেওয়ার জন্যে বিবিসি যখন ডিসেম্বরের 9 তারিখে আমার সাথে যোগাযোগ করল, তখন তো আমি মহা তাজ্জব। বাংলাদেশী ব্লগার হিসেবে দু'ঘন্টার নোটিসে এমন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিযে আলাপ করতে হবে, তা আমার মতো সাধারণ মানুষের জন্য বেজায় কঠিন ছিল। পৃথিবী সত্যি ছোট হয়ে গেছে। 'ওয়ার্ল্ড হেভ ইওর সে' অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে ডঃ শমসের আলী আর শাহ আব্দুল হান্নান রাজাকার জামাতীদেরকে একটি গনতান্ত্রিক দল হিসেবে চিএিত করার মহা চেস্টা করে গেলেন।
তারা বাংলাদেশে মৌলবাদী সন্ত্রাসী কার্যক্রমকে 'আইন-শৃংখলা বিষয়ক সমস্যা' হিসেবে চিহ্নিত করে আর হুযুরদের মহাসমাবেশ এই সমস্যা নিরসরণে সাহায্য করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করে মূল সমস্যাটা একেবারে পাশ কেটে গেলেন । সমাবেশ, সেমিনার, আলোচনা দিয়ে জনগণকে সন্ত্রাস সম্পর্কে সচেতন করা জরুরী, দেশ যখন সন্ত্রাসের ছোবলে রক্তাত্ব ও শোকার্ত তখন এব্যাপারে লোকজন এমনিতেই যথেস্ট সচেতন। লোকদেখানো সমাবেশ আর আলোচনা দিয়ে তখন কি হবে? ধমর্ীয় মৌলবাদীদের সাথে জোট বেঁধে সরকার গঠন হবে, আর মৌলবাদী সন্ত্রাসী শক্তির বিস্তার ঘটবে না, তা তো হয় না।
বাংলাদেশী ব্লগার হিসেবে আমার মন্তব্যে বলি 1971 সালের গণঘাতক সন্ত্রাসী জামাতীদের সাথে জোট বেঁেধ বর্তমান সরকার ধমর্ীয় উন্মাদনায় নজিরবিহীন উৎসাহ দিয়ে আসছেন। এই অনুষ্ঠানে 'জামাত জনসমর্থিত রাজনৈতিক দল' হিসেবে হান্নান সাহেবের সাফাই চট্রগ্রাম ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে নিরীহ ছাএদের রগকাটার দায় থেকে জামাত-শিবিরকে মুক্তি দিবে না। মানবতার বিরুদ্ধে জামাতীদের ভূমিকার জন্য জামাতীদেরকে বিচারের কাঠগড়ায় অবশ্যই দাঁড় করাতে হবে। 1971 সালে গণহত্যায় জামাতীদের ভূমিকা কিভাবে আমরা ভুলে যাই? হান্না্ন সাহেবের ইতিহাস বিস্মৃতি ইতিহাসের পাতাকে কোনভাবেই পরিবর্তন করবে না। সন্ত্রাস ও মৌলবাদ নিয়ে পড়ুন আর লিখুন। সচেতন করে তুলুন সবাইকে।