এক বছর আগে হঠাৎ করে অত্যন্ত বেদনাদায়কভাবে ঘটনাটি ঘটল। 73 বছর বয়সী শাহ এএমএস কিবরিয়ার জন্য একটি সাধারণ দিন ছিল। সংসদ সদস্য, প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী, কূটনীতিক, রাজনীতিবিদ ও সংস্কৃতিসেবী কিবরিয়া হবিগঞ্জে তার দলীয় সমর্থকদের সভায় বক্তৃতা দিতে গেছেন। গত বছরের জানুয়ারীর 27 তারিখে তিনি স্থানীয় স্কুলে বক্তৃতা দিয়ে গেটের কাছে পৌঁছামাএ তার দিকে গ্রেনেড ছুঁড়ে মারা হলো। মারাত্মকভাবে আহত কিবরিয়া মারা গেলেন কয়েক ঘন্টার মধ্যে। আমরা খুব নীরবে উদযাপন করলাম কিবরিয়ার প্রথম মৃতু্যবার্ষিকী। একটি সুখী পরিবার হারালো তাদের একান্ত প্রিয়জনকে, দেশ হারালো এক কৃতী সন্তানকে, আর বিরোধী দল আওয়ামী লীগ হারালো তাদের এক তারকাকে। গত এক বছরে অপরাধীদের বিচারে কোন অগ্রগতি হয়নি। ক্ষমতাসীন বিএনপি-জামাত সরকার চরমভাবে ব্যর্থ হলো তার হত্যার দ্রুত বিচার সম্পন্ন করতে, শুধু তারা নোংরা দলীয় রাজনীতির ছকে বিচারকে আবদ্ধ করে রাখল।
শাহ এএমএস কিবরিয়ার অকাল ও বিয়োগান্তক মৃতু্য তার কন্ঠস্বরকে আমাদের হৃদয়ে ও জাতীয় চেতনায় আরও শক্তিশালী করে দিল। তার পরিবার ও বন্ধুবর্গ তার হত্যার বিচারে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের এক অনন্য মডেল স্থাপন করল। বাংলাদেশ রাজনৈতিক হত্যার জন্য সবসময়ই অনন্য উদাহরণ স্থাপন করে রেখেছে। কিন্তু কিবরিয়া হত্যা সারা বিশ্বের মানুষের মনকে ব্যাপকভাবে নাড়া দিয়েছে। এম্নেস্টী ইন্টারন্যাশনাল, জাতিসংঘ মহাসচিব কফি আন্নান, ইউরোপীয় পার্লামেন্ট, মার্কিন স্টেট সেক্রেটারী কন্ডোলেজা রাইসসহ অগণিত মানুষ তার হত্যার নিন্দা করেছে এবং দ্রুত বিচারের দাবী জানিয়েছে। আমরা হারিয়েছি একজন গর্বিত মানুষকে কিন্তু আমরা আমাদের বিবেককে একেবারে হারিয়ে ফেলিনি। কিবরিয়া হত্যার বিচারের দাবীতে একাত্ম হোন। আমার পছন্দের সারিতে কিবরিয়া স্মারক ওয়েবপেজটি আপনাদের জন্য যোগ করে দিলাম। যোগ দিন একটি শোকার্ত পরিবারের পাশে, মানবতার স্বার্থে, ন্যয়বিচারের স্বার্থে আর নোংরা সংকীর্ণ রাজনীতির সংস্কৃতি বিসর্জনে।
১. ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০০৬ দুপুর ১:০২ ০